বেগুন খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের মুখ বেগুন ভাজা দেখলেই আলো হয়ে যায়। কিন্তু অল্পেতে খুশি বলে কি একটু বেশির স্বাদ নেবেন না? বেগুন দিয়ে রান্নার যদিও কমতি নেই। বেগুন ভাজা, টম্যাটো পেঁয়াজ লঙ্কা দিয়ে মাখা বেগুন ভর্তার বাইরেও মুখ বদলাতে অনেকে বেগুন পোস্ত, সর্ষেবাটা দিয়ে ছোট বেগুনের ঝাল, এমনকি, দই বেগুনও বানিয়ে খান। সেই সব চেনা রান্নার বাইরে আরও একটু অন্য রকম কিছু খেতে চাইলে বেগুন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন টক-ঝাল আচার ভর্তা।
সাধারণত যে কোনও ভর্তা রান্নায়, সব্জি বা ভর্তার মূল উপকরণটিকে রান্নার পরে হাত দিয়ে চটকে মেখে নেওয়া হয় বা বেটে নেওয়া হয়। বেগুনের আচার ভর্তায় বেগুনকে থেঁতো করে নেওয়া হবে রান্নার আগেই। অর্থাৎ কাঁচা অবস্থায়। তার পরে সেটি চড়বে কড়াইয়ে। এবং রান্না করা হবে আচারের মতো করে।
ঝাঁঝ, ঝাল, মশলার সুগন্ধ ভরপুর থাকবে এ রান্নায়। স্বাদও এক বার খেলে ভোলার মতো নয়। গরম ভাত হোক বা রুটি— সঙ্গে এই একটি খাবার থাকলেই অন্য কোনও রান্নার দরকার পড়বে না আর।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ২টি মাঝারি মাপের বেগুন
৭-৮ কোয়া রসুন
১ চা চামচ নুন
১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
দেড় টেবিল চামচ সর্ষেবাটা
১ চা চামচ রসুন বাটা
২ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
অর্ধেক পাতি লেবুর রস
সামান্য জল
প্রণালী: বেগুনের বোঁটা ছাড়িয়ে সেটি নোড়া দিয়ে হালকা হাতে থেঁতো করে নিন। যাতে বেগুন ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে যায়।
একটি কড়াইয়ে ভেঙে যাওয়া বেগুনের টুকরো, সব ক’টি গুঁড়োমশলা, সর্ষেবাটা, রসুনবাটা, লঙ্কাবাটা এবং সর্ষের তেল দিয়ে হাতে করে ভাল ভাবে মাখিয়ে নিন।
এ বার কড়াই আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে দিন সামান্য জল এবং রসুনের কোয়া। চাপা দিয়ে রান্না করুন মিনিট ১০-১৫। বেগুন ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং জল শুকিয়ে গেলে ঢাকা খুলে উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।