গরম মানেই টাটকা পটল। বর্ষার মরসুমেও এই সব্জির আকাল হয় না মোটেই। অন্য দিকে, টাটকা মাছের ডিম পাওয়ার এটাই আদর্শ সময়। পটল আর মাছের ডিম— দুই-ই যদি হাতের কাছে থাকে তা হলে বানিয়ে ফেলতে পারেন মাছের ডিম দিয়ে পটলের দোলমা।
যে পদ্ধতিতে পটলের দোলমা বানায়, এটিও তেমনই। শুধু তফাত পুরের উপকরণে। যে কোনও মাছের ডিমও এ জন্য নিতে পারেন।
উপকরণ
২৫০ গ্রাম মাছের ডিম
৫-৬টি পটল
৪টি বড় পেঁয়াজ
১০-১২ কোয়া রসুন বাটা
২ টেবিল চামচ আদা বাটা
স্বাদমতো নুন
২ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
২ টেবিল চামচ কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা-চামচ ধনেগুঁড়ো
১ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো
আরও পড়ুন:
২টি শুকনো লঙ্কা
২ টুকরো দারচিনি
২-৩টি ছোট এলাচ
১ টেবিল চামচ চার মগজবাটা
২ টেবিল চামচ টক দই
১ টেবিল চামচ কাজুবাটা
আন্দাজমতো সর্ষের তেল
প্রণালী: কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিয়ে কুচি করে কাটা ২টি পেঁয়াজ, ১ টেবিল
চামচ আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে ভেজে দিন। যোগ করুন মাছের ডিম। স্বাদমতো নুন,
হলুদ, কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঝুরো ঝুরো করে ভেজে নিন।
পটলগুলি ধুয়ে ছুরির একাংশ দিয়ে খোসা চেঁচে নিন। পটলের মাথার অংশটি কেটে ভিতরের বীজ ফেলে দিন। কাটা অংশটি ফেলবেন না। সর্ষের তেলে পটল নুন মাখিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর এর ভিতরে পুরে দিন মাছের ডিমের পুর। পটলের কাটা টুকরো দিয়ে মুখ আটকে টুথপিক দিয়ে আটকে দিন। টুথপিক না থাকলে ময়দাগোলা দিয়েও আঠার মতো পটলের টুকরো দিয়ে মুখটা আটকে দিন।
এ বার পটলের দোলমার কাই বানাতে হবে। কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে শুকনো লঙ্কা, গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন। ২টি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজে রং ধরলে দিতে হবে আদা এবং রসুন বাটা। একে একে ধনে, জিরেগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, গুঁড়ো লঙ্কা দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে জল ঝরানো টক দই, বাদাম এবং চারমগজ বাটা দিয়ে আঁচ কমিয়ে কষতে থাকুন। বাদামের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে পুর ভরা পটল দিয়ে খুব সাবধানে কষিয়ে গরম জল ঢেলে দিন। ঢাকা দিয়ে পটল রান্না হতে দিন। কাই মাখা মাখা হয়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে দোলমা।