রুটি নরম রাখবেন কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসের টিফিনে অনেকে প্রায়দিনই রুটি নিয়ে আসেন। সঙ্গে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ভাজা, তরকারি, চচ্চড়ি থাকে। কাজের ফাঁকে রুটি খেয়ে নেওয়া সুবিধাজনক হলেও গোলমাল বাঁধে রুটি ছিড়তে গিয়ে। সকালের তৈরি করা রুটি দুপুর গড়াতেই শক্ত হয়ে যাচ্ছে। চিবোতে গিয়েও দাঁত ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। রুটি গরম থাকতে থাকতে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়। ঠান্ডা হয়ে গেলেই রুটি শক্ত হয়ে যায়। তখন খেতে সমস্যা হয়। তবে রুটি তৈরির সময় যদি কয়েকটি টোটকা মেনে চলা যায়, তা হলে এই সমস্যা আর হবে না।
গরমজল
আটার মাখার সময় ঠান্ডা জল নয়, গরম জল ব্যবহার করলে ভাল। ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে আটা মাখলে মণ্ডটি নরম হয়। রুটিও নরম থাকে বহু ক্ষণ। ঠান্ডা জল ব্যবহার করে আটা মাখা হয় বলেই, রুটি শক্ত হয়ে যায়।
ঘি
আটার মণ্ডটির মধ্যে এক চামচ ঘি দিয়ে আরও এক বার মেখে নিন। ঘি আটার মণ্ডটির আঁটসাঁট ভাব খানিকটা শিথিল করবে। রুটিও নরম হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলেও শক্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। রুটি ফুলবেও।
কাপড়ে মুড়িয়ে
আটা মাখার পর মণ্ডটি এমনি খোলা পাত্রে রেখে দেবে না। আটা মেখে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। একটি সুতির কাপড় দিয়ে পাত্রটি ঢেকে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর ফলে রুটি ফুলবেও আবার দীর্ঘ ক্ষণ নরম থাকবে।
সঠিক আঁচে
রুটি সেঁকা সহজ নয়। একটু এদিক-ওদিক হলেই রুটি পুড়ে যেতে পারে। তাই রুটি সেঁকার সময় গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখুন। অথবা মাঝারি আঁচে রুটি সেঁকতে পারেন। রুটি ফুলবে আবার নরমও হবে।
দুধ
আটা মাখার সময় খানিকটা দুধও ব্যবহার করতে পারেন। জল আর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে আটা মাখলে নরম হবে মণ্ড। রুটির স্বাদও বেশ অন্যরকম হবে। রুটিও নরম হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy