এক দিনের গরমেই বাংলা হাঁসফাঁস। ভাবুন তো গরমকালে রাজস্থানের অবস্থা কী হতে পারে! গ্রীষ্মে দেশের মরুরাজ্যের তাপমাত্রার পারদ পঞ্চাশ ডিগ্রিও ছুঁয়ে ফেলে কখনও-সখনও। সেই তীব্র গরমের সঙ্গে মোকাবিলা করে টিকে থাকেন মরুবাসীরা। তবে তার জন্য তাঁদের জীবনযাত্রা বা বলা ভাল, খাওয়াদাওয়ায় কিছু বদলও আনতে হয়। শরীর ঠান্ডা রাখার বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং পানীয় রয়েছে রাজস্থানে। তার মধ্যে একটি তেঁতুলের শরবত। যাকে রাজস্থানিরা বলেন ইমলি কে অম্লানা। শরীর ঠান্ডা রাখতে এই পানীয় মোক্ষম দাওয়াই।
ইমলি হল তেঁতুল। আর অম্ল কথার অর্থ টক। যা থেকেই এসেছে অম্লানা শব্দটি। ইমলি কে অম্লানা আসলে তেঁতুলের টক-মিষ্টি শরবত।
শোনা যায় এই শরবতের জন্ম হয়েছিল কোনও রাজপুত রাজার পাকশালে। প্রখর গরমে রাজবাড়ির সদস্যদের ঠান্ডা রাখতে রাজপরিবারের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তৈরি হয়েছিল সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়। পরবর্তী কালে যা রাজদরবারের গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণের কাছে পৌঁছোয়। তেঁতুলের শরবতের শরীর ঠান্ডা করার ক্ষমতা দেখে তাকে আপন করে নেয় আমজনতা।
গরমে ঠান্ডা থাকার জন্য তেঁতুলের শরবত খেতে পারেন আপনিও। জেনে নিন, কী ভাবে বানাবেন।
উপকরণ
১/২ কাপ টুকরো করে কাটা তেঁতুল
১/২ কাপ গুড়
১/৪ চা চামচ গোলমরিচগুঁড়ো
১/৪ চা চামচ এলাচগুঁড়ো
১/২ চা চামচ বিটনুন
২ টেবিল চামচ পুদিনাপাতা কুচি
প্রণালী
একটি পাত্রে তেঁতুল এবং ১ কাপ জল মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে হাতে করে ভাল ভাবে চটকে নিয়ে তেঁতুলের ক্বাথ তৈরি করুন। এ বার মিশ্রণটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। যাতে দানা, আঁশ, তেঁতুলের খোলার টুকরো ইত্যাদি আলাদা হয়ে যায়।
ছেঁকে নেওয়া তেঁতুলের ক্বাথে একে একে মেশান গুড়, গোলমরিচগুঁড়ো, এলাচগুঁড়ো, বিটনুন এবং ৩ কাপ জল। কমপক্ষে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।
ঠান্ডা হলে গ্লাসে ঢেলে পুদিনাপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।