সরস্বতীপুজোয় দু’দিন নিরামিষ! জলখাবারে বা রাতে পরোটার সঙ্গী হতে পারে আচারি কুমড়ো

সরস্বতীপুজো এ বছর দু’দিন ধরে পালন করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। রবি এবং সোমবার। অর্থাৎ দু’দিনই বাড়িতে নিরামিষ ভোজন। আবার অনেকে মাঘ পঞ্চমীর পরের দিন অর্থাৎ মাঘ ষষ্ঠীতেও নিরামিষ খাওয়াদাওয়া করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে নিরামিষ খাওয়াদাওয়া চলবে রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে যাঁরা এই সব নিয়ম মেনে চলেন তাঁরা ওই ক’টা দিন তিন বেলা নানা রকম নিরামিষ রান্নাবান্না করবেন। ভাতের সঙ্গে একরকম তরকারি। সকালে প্রাতরাশে লুচি বা পরোটার সঙ্গে একরকম তরকারি। ভাত এবং পুজোর খিচুড়ির সঙ্গে একরকম নিরামিষ পদ। আবার রাতের খাবারের জন্যও আরও একটি বা দু’টি নিরামিষ তরকারি ভাবতে হবে।

শীতে আনাজপাতির কমতি নেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি তো আছেই। সঙ্গে লুচি বা পরোটার সঙ্গে ছোট ছোট নতুন আলুর দমও খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তার পরে? বাকি দিনগুলোয় রুটি, লুচি ভাত বা পরোটার সঙ্গে কী খাবেন। শীতে বাজারে কুমড়োও পাওয়া যায়। সেই কুমড়োও নেহাৎ ফেলনা নয়। অনেক তারকাও বলেন, দুর্গাপুজোয় লুচি দিয়ে বাড়িতে তৈরি কুমড়োর তরকারি খাওয়ার জন্য তাঁরা মুখিয়ে থাকেন। তবে কুমড়ো দিয়ে একঘেঁয়ে ছক্কা বা ডালনা না রেঁধে বরং সরস্বতীপুজোয় স্বাদ বদলান। নিরামিষ খাওয়ার একটা দিনে বানিয়ে ফেলুন টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের আচারি কুমড়ো। খুব সামান্য উপকরণ আর অল্প সময়েই রান্না হয়ে যাবে। স্বাদেও আসবে বদল। রুটি, লুচি, পরোটা কিংবা ভাত— সব কিছুর সঙ্গেই যোগ্য সঙ্গত করবে আচারি কুমড়ো।

কী ভাবে বানাবেন?

উপকরণ:

২টি মাঝারি মাপের আলু (ডুমো করে কাটা)

৪০০ গ্রাম কুমড়ো (আলুর মাপে কেটে নেওয়া)

১টি মাঝারি মাপের টোম্যাটোর কুচি

২-৩টি কাঁচালঙ্কা চেরা

৫ টেবিল চামচ সর্ষের তেল

দেড় চা চামচ পাঁচফোড়ন

১টি শুকনো লঙ্কা

১/৪ চা চামচ হিং

১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো

১/২ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো

১ চা চামচ আমচুর

১/২ চা চামচ চিনি

২ কাপ জল

স্বাদ মতো নুন

প্রণালী:

প্রথমে যে কড়ায় রান্না করবেন সেটি আঁচে বসিয়ে শুকনো কড়ায় ১ চা চামচ পাঁচফোড়ন দিয়ে ভাল ভাবে ভাজুন। সুগন্ধ বেরোলে তুলে নিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন।

এ বার ওই কড়ায় চার টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিয়ে তাতে একটি শুকনো লঙ্কা, আধ চা চামচ গোটা পাঁচফোড়ন, হিং দিয়ে নাড়াচাড়া করে কেটে রাখা আলু দিয়ে দিন। আলু দু’ এক মিনিট ভাজার পরে দিন কেটে রাখা কুমড়ো।

মিনিট কয়েক তেলে নাড়াচাড়া করার পরে আলু এবং কুমড়োর চারপাশে বাদামি রং ধরলে দিন ছোট ছোট কুচি করে কেটে রাখা টম্যাটো এবং কাঁচা লঙ্কা। মিনিটখানেক রান্না হওয়ার পরে দিন নুন। টোম্যাটো নরম হয়ে এলে একে একে দিন হলুদ এবং লঙ্কাগুঁড়ো। তার পরে দিন চিনি। চিনি দেওয়াটা জরুরি কারণ, চিনিই বাকি স্বাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে। শেষে আমচুর দিয়ে নেড়েচেড়ে ২ কাপ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন।

ঢাকা দিয়ে ৭-৮ মিনিট সিদ্ধ করুন। তবে মাঝেমধ্যে খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে উপরে ছড়িয়ে দিন গুঁড়ো করে রাখা পাঁচফোড়ন আর এক টেবিল চামচ কাঁচা সর্ষের তেল। তাতে টকঝাল আচারের স্বাদ আরও খুলবে।

গরম ভাত বা রুটি-পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।