বিজয়াদশমীর পরে বাঙালি বাড়িতে অতিথি সমাগম হয়েই থাকে। ছুটির দিনে অথবা অফিসফেরতা বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বুড়িছোঁয়া হলেও মিষ্টি হাতে নিয়ে যাওয়া। বড়দের থেকে আশীর্বাদ নেওয়া, সমবয়সি আর ছোটদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। আগেকার মতো না হলেও এখনও এই চল রয়ে গিয়েছে। রয়ে গিয়েছে বিজয়া উপলক্ষে আসা অতিথিদের মিষ্টি এবং নোনতা খাওয়ানোর রীতিও। চিরকালীন নারকেল নাড়ু, মিষ্টি, নিমকি, ঘুগনির বাইরে হালকা জলখাবার হিসাবে পাতে সাজিয়ে দেওয়া যেতে পারে একটু বেশি কিছু। তেমনই একটি খাবার হোক দহি পনির। তার সঙ্গে নরম পরোটা থাকলে জমে যাবে বিজয়ার ভোজ।
উপকরণ:
পনির ম্যারিনেট ও ভাজার জন্য
৫০০ গ্রাম পনির
আধ চা চামচ হলুদ
আধ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
৪ চা চামচ তেল
১টি পেঁয়াজ বড় বড় চৌকো টুকরোয় কাটা
১ টি ক্যাপসিকাম একই ভাবে কাটা
১ চা চামচ কসুরি মেথি
দইয়ের কারি বানানোর জন্য
৪ টেবিল চামচ তেল
৪টি তেজপাতা
২ চা চামচ কসুরি মেথি
২ চা চামচ গোটা জিরে
২টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ কুচিয়ে নেওয়া
২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
১ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
২ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
২ চা চামচ ধনেগুঁড়ো
৪ টেবিল চামচ বেসন
৪ কাপ দই
২ কাপ জল
দেড় চা চামচ নুন
৪ টেবিল চামচ ধনেপাতা
দেড় চা চামচ গরম মশলা
প্রণালী:
পনিরকে হলুদ, লঙ্কা, কসুরি মেথি এবং সামান্য নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ আর ক্যাপসিকামের বড় টুকরোগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে তুলে নিন। ওই তেলেই ম্যারিনেট করা পনিরগুলো হালকা ভেজে নিয়ে তুলে রাখুন।
এ বার একটি পাত্রে ৪ কাপ দই, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরে এবং ধনেগুঁড়ো, বেসন, গরমমশলা একসঙ্গে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে রেখে দিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করুন, তাতে তেজপাতা এবং জিরে ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে একে একে দিন, কুচোনো পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে ওর মধ্যে দইয়ের মিশ্রণটি ঢেলে আঁচ বন্ধ করুন। ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে নুন অল্প জল মিশিয়ে উনুন জ্বেলে ফুটতে দিন।
ফুটে উঠলে এবং তেল ছাড়তে শুরু করলে উপরে দিন কসুরি মেথি। চারটে চিরে নেওয়া কাঁচালঙ্কা এবং ভেজে রাখা পনির।
কিছু ক্ষণ রান্না হতে দিন। নামানোর সময়ে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।
এর সঙ্গে রুটি, পরোটা দুই-ই ভাল লাগবে।