গল্পের বইয়ের পাতার পান্তাবুড়ি থেকে শুরু করে প্রয়াত বিশ্বশ্রী মনোহর আইচ। পান্তাভাতের রেসিপিতে মজেছেন অনেকেই। গ্রামবাংলার বহু মানুষ গরমে পান্তা ভাত খেয়ে কাজে বেরোন। এতে মাঠে-ঘাটে চড়া রোদে কাজ করতে সুবিধা হয় বলে তাঁদের দাবি। পুষ্টিবিদরাও সেই দাবি উড়িয়ে দেন না। ফলে, গরম কাল জুড়ে এক এক জায়গায় এক এক কায়দায় তৈরি পান্তা বাঙালির পাতে দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে।
গেরস্থের হেঁসেল ছাড়িয়ে সেই পান্তা তৈরি হচ্ছে ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁর কিচেনে। নরম আলোয় মাখা ডাইনিং রুমে চেয়ার-টেবিলে বসে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা দিয়ে গোগ্রাসে পান্তা খাচ্ছেন কেতাদুরস্ত অনেকেই। এলিট ক্লাস। পান্তার আদি-অকৃত্রিম স্বাদ পেতে কেউ হাতেই সাবাড় করছেন। কেউ বা চামচে। বিরিয়ানি-চিকেন লালিপপের যুগে বাবা-মায়ের হাত ধরে রেস্তরাঁয় চেটেপুটে পান্তা খেয়ে ঢেকুর তুলছে জেন ওয়াই।
ফণী বিদায়ের পর থেকে গরমে কাহিল বাংলা। মঙ্গল-বুধ সন্ধ্যায় বৃষ্টি হলেও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার সৌজন্যে দুপুরে অস্বস্তি কমল কই! এই মরসুম দেখেই দিন কয়েক ধরে দুপুরের মেনুতে পান্তার সংযোজন হয়েছে শ্রীরামপুরের একটি রেস্তোরাঁয়।