আরও পড়ুন: পালং শাক আর কিমার কেরামতিতে বিরিয়ানি এখানে কথা বলে
হালিম তৈরি হতে লাগে প্রায় ১২ ঘণ্টা। আগের দিন রাতে চুলায় বসালে হালিম রান্না হতে পরের দিন সকাল গড়িয়ে দুপুর। রকমারি ডাল, গম সিদ্ধ করা হয় প্রথমে। তার পর মাংস, দুধ, জিরা, তালের গুড় ইত্যাদি নানা উপাদানে একটু একটু করে সেজে ওঠে হালিমের হাঁড়ি। অধিকাংশ কারিগরই ঐতিহ্যের কারণেই গোপন রাখেন হালিমের প্রধান মশলাগুলির নাম, কারণ সেটাই ইউএসপি।
কলকাতায় হালিমের গন্ধ ও স্বাদ পাল্লা দিতে পারে হায়দরাবাদি হালিমের সঙ্গে।
রমজান ভাঙতে অনেকেই হালিম কেন খান
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হালিম খুবই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। এটি দ্রুত হজম হয় । এতে থাকা শুকনো ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । মাংস একে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে পরিণত করেছে । ফলে সারা দিনের লম্বা সময়ের উপোস থাকার ফলে শরীরে যে খাটতি তৈরি হয় সেটা অনেকটাই দূর হয় হালিম খেলে। সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট চনমনে থাকার রসদ।
আরও পড়ুন: শাক থেকে শজারু, সবই কব্জি ডুবিয়ে খেত বাঙালি
জনপ্রিয়তা
২০১০ সালে হায়দরাবাদী হালিম জিআই ট্যাগ পায়। তথ্য বলছে রমজান মাসে হায়দরবাদে ৬০০ টি হালিমের দোকানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার হালিম বিক্রি হয়। টাকার অঙ্কটা এক না হলেও গত কয়েক বছরে কলকাতাতেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হালিমের জনপ্রিয়তা। বিকেল হলেই গুটিগুটি পায়ে হালিমের সামনে ভিড় বাড়াচ্ছেন ভোজনরসিকরা। জেন ওয়াই হালিমে মজেছে ভালই।
আজান ভেসে আসছে, সারা দিনের গরমের দাপটের শেষে প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছে আলগা হাওয়া। এমন সময় কুসুম গরম হালিমের স্বাদ, পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার জীবনে নতুন প্রেমের মতোই আলগোছে আনন্দ!