জাঁকিয়ে পড়েছে গরম। সূর্যের চোখরাঙানিতে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে বাঁচতে মশলাজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে তরল খাবারই বেশি খেতে বলছেন পুষ্টিবিদেরা। রোদে বেরোলে নরম পানীয়ের বদলে একটু ডাবের জল খেয়ে নেওয়া ভাল। আবার রাস্তায় তৈরি লস্যি, লাল-নীল শরবত, দইয়ের ঘোল খেতেও বারণ করা হচ্ছে। কারণ ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে যে হারে পেটের গোলমাল হচ্ছে তাতে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াই এখন শ্রেয়। যদি গরমের দিনে শরবত খেতে ইচ্ছে করে, তা হলে রেস্তরাঁর মতো শরবত বানিয়ে নেওয়া যায় বাড়িতেই। এমন শরবত বানাতে হবে যা খেতেও সুস্বাদু এবং শরীরের জন্যও ভাল। গরম থেকে ফিরে এক গ্লাস খেলে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে, ডিহাইড্রেশনের ভয়ও থাকবে না।
গোলাপ শরবত খেতে কার না ভাল লাগে। এর জন্য দোকান থেকে সিন্থেটিক শরবত কেনার প্রয়োজন নেই। কারণ সেই সব পানীয়ে এত বেশি প্রিজ়ারভেটিভ থাকে যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আবার এই গরমের সময়ে রাস্তার স্টলগুলিতেও গোলাপ শরবত বিক্রি হতে দেখবেন। সেগুলি না খাওয়াই ভাল। তার চেয়ে টাটকা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিন ‘শরবত-ই-গুলাব’।
গোলাপের শরবত কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
১ কাপ গোলাপের পাপড়ি
৪ কাপ জল
৩-৪ চামচ মধু
২ চা-চামচ পাতিলেবুর রস
সামান্য কেশর
এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো
কেওড়া জল
বরফকুচি ও সাজানোর জন্য গোলাপের পাপড়ি
আরও পড়ুন:
প্রণালী
গোলাপের পাপড়িগুলি ভাল করে ধুয়ে রাখুন। এ বার প্যানে গরম করে তাতে গোলাপের পাপড়ি, কেশর ও দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে ভাল ভাবে ফোটান। জলের রং বদলে গেলে ও সুগন্ধ বার হলে গ্যাস বন্ধ করে পানীয়টি ছেঁকে নিন। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছু ক্ষণ রেখে তাতে মধু মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। গন্ধের জন্য ১-২ ফোঁটা কেওড়া জল মেশাতে পারেন। কেওড়া জল মেশালে রেস্তরাঁর মতো স্বাদ আসবে। এ বার শরবত পরিবেশনের আগে তাতে বরফের কুচি ও উপরে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।