সর্ষে দিয়ে ভাপা হোক কিংবা মালাইকারি, ভর্তা হোক বা চচ্চড়ি— চিংড়ির যে কোনও পদ হলেই বাঙালির ভোজ জমে যায়। অনেকেই আছেন, যাঁরা মাছ খেতে পছন্দ না করলেও চিংড়ি তাঁদের বড় প্রিয়। চটজলদি কোনও পদ রাঁধতে হলে চিংড়ির থেকে ভাল আর যেন কিছুই হয় না। সারা বছরই বাজারে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। তবে চিংড়ি রান্নার সময়ে কিছু সাধারণ ভুলে রান্নার স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া বর্ষার মরসুমে এই মাছ খাওয়ার বিষয়েও একটু সতর্ক থাকতে হবে। জেনে নিন, চিংড়ি রান্নার সময়ে কোন ভুলগুলি একেবারেই করা উচিত নয়।
১) টাটকা মাছের স্বাদই আলাদা হয়। বাজার থেকে হিমায়িত চিংড়ি না কিনে টাটকা চিংড়ি কেনাই উচিত। কারণ, হিমায়িত চিংড়িগুলি রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় বলে তার স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাজারে গিয়ে চিংড়ি কেনার সময় তার রং দেখে নেবেন। চিংড়ির মধ্যে কমলা আভা দেখলে বুঝবেন, সেটি মোটেও টাটকা নয়।
২) সারা সপ্তাহের মাছ এক বারেই বাজার করে ফ্রিজে রেখে দেন? রান্নার খানিক ক্ষণ আগে মাছগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে মাইক্রোওয়েভে ডিফ্রস্ট করেই রান্না সারেন অনেকে। তবে চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রে এই ভুলটি করবেন না। চিংড়ি খুব নরম মাছ। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হল, রান্নার আট থেকে দশ ঘণ্টা আগেই মাছটি ফ্রিজ থেকে বার করে রাখা।
৩) চিংড়ি পরিষ্কার করার সময়ে অনেকে পুরো খোসাটাই ছাড়িয়ে দেন। তবে বাকি খোসাটা ছাড়িয়ে দিলেও লেজটুকু না ছাড়ালে ভাল। এতে চিংড়িমাছগুলি ভেঙে যাবে না। খেতেও সুবিধা হবে।
৪) চিংড়ি রান্নার আগে শিরা বার করতে ভুলবেন না। না হলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ছুরি কিংবা টুথপিক দিয়ে বাড়িতেই আপনি চিংড়ি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। যদি নিজের করতে অসুবিধা হয়, তা হলে চিংড়ি কেনার সময়েই করিয়ে নেওয়া ভাল৷
৫) মাছের কালিয়া হোক কিংবা রসা, অনেক পদের ক্ষেত্রেই বেশি করে মাছ ভেজে নিলে স্বাদ বাড়ে। তবে চিংড়িমাছের ক্ষেত্রে কিন্তু এ নিয়ম একেবারেই প্রযোজ্য নয়। চিংড়ি তেলে ছেড়ে হালকা গোলাপি হলেই তুলে ফেলুন আর চিংড়িমাছ ভাজার সময়ে তেল হালকা গরম করুন। অতিরিক্ত গরম তেলে এই মাছ ভাজলে স্বাদ বিগড়ে যায়।