ভাতের পাতে মাছ, পাঁঠার মাংস যতই প্রিয় হোক, রসনাতৃপ্তিতে ডিমও কম যায় না। কষা হোক বা ডিম-পোস্ত, গরম ভাতে অনবদ্য। তবে যদি স্বাদবদলের প্রয়োজন পড়ে তা হলে রেঁধে ফেলতে পারেন ডিমের শাঁসরাঙা। নাম নতুন মনে হলেও এই পদ বহু পুরনো। শোনা যায়, এক সময় এই রান্না ধনী এবং বনেদি পরিবারে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে আভিজাত্যের ছোঁয়া থাকলেও এই পদ কিন্তু ঘরোয়া উপকরণেই রেঁধে ফেলা যায়।
উপকরণ
৫টি মুরগি বা হাঁসের ডিম
২ টেবিল চামচ ঘি
প্রয়োজন মতো সাদা তেল
২টি পেঁয়াজ কুচি
২টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা
কয়েকটি ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি
আধ টেবিল চামচ আদা বাটা
আধ টেবিল চামচ রসুন বাটা
এক চা-চামচ হলুদ
এক চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
আধ চা-চামচ ধনে এবং জিরেগুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
দু’কাপ নারকেলের দুধ
প্রণালী: প্রথমেই ডিম ফাটিয়ে সাদা অংশ এবং কুসুম আলাদা করে নিতে হবে। কুসুম যেন ঘেঁটে না যায়। এ বার সাদা অংশ নুন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে সাদা অংশ ভেজে অমলেটের মতো মুড়ে নিন। তার পর ছুরির সাহায্যে ২ ইঞ্চি টুকরো করে কেটে ফেলুন।
এ বার কড়াইয়ে সাদা তেল এবং ঘি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে রাখুন। আবার তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। তার পর পেঁয়াজ বাটা ভেজে নিন। যোগ করুন আদা, রসুন বাটা। একটু নাড়িয়ে নিয়ে নুন, হলুদ এবং সমস্ত গুঁড়োমশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। দিয়ে দিন কিছুটা গরম জলে। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে আঁচ কমিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। দিয়ে দিন কাঁচালঙ্কা। সমস্ত উপকরণ ফুটে গেলে যোগ করুন ডিমের সাদা অংশ। তার পর কুসুমগুলি একে একে ঝোলে ছেড়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে।