জামাইকে থালা সাজিয়ে খাওয়ানোর আয়োজনটা সে কালেও যেমন ছিল, এ কালেও প্রায় তেমনই আছে। আয়োজনের রকমটা বদলে গিয়েছে। গতে বাঁধা ঝাল-ঝোলের বদলে আধুনিকা শাশুড়িরা মাছ বা মাংসের নানা রকম রান্না করছেন। কখনও তা সাবেক প্রণালীতে হচ্ছে, আবার কখনও তাতে থাকছে ফিউশনের ছোঁয়া। এখনকার অনেক জামাই স্বাস্থ্য সচেতন। কাজেই তেল-ঝালে ভূরিভোজে আপত্তি থাকে অনেকেরই। অথচ খাবারের স্বাদ হতে হবে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই। যদি জামাইষষ্ঠীতে নতুন কিছু খাওয়ানোর ইচ্ছা থাকে, তা হলে রোস্টেড পোস্ত চিকেন রাঁধতে পারেন। এতে তেল বা ঝালের পরিমাণ সামান্য। পোস্তবাটায় মাখামাখি চিকেনের স্বাদ জামাইয়ের মন জয় করবেই।
রোস্টেড পোস্ত চিকেন রান্নার প্রণালী
উপকরণ
৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
আধ কাপ দই
৪ চামচ পোস্ত বাটা
২ চামচ কাজুবাদাম বাটা
১ চামচ রসুন বাটা
১ চামচ আদাবাটা
২ চামচ পেঁয়াজ বাটা
আধ কাপ টম্যাটো কুচি
১ চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
আধ চামচ গরম মশলা
১ চামচ চারমগজ বাটা
১ চামচ মধু
১টি তেজ পাতা
৫টি লবঙ্গ
২টি এলাচ
১ টুকরো দারচিনি
সাদা তেল
নুন ও মিষ্টি স্বাদমতো
আরও পড়ুন:
প্রণালী
প্রথমে দই দিয়ে চিকেন ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ঘণ্টা দুয়েক। এর পর তাতে মধু মাখিয়ে নিন। কড়াইতে সামান্য সাদা তেল ব্রাশ করে তাতে কম আঁচে চিকেন ভাল করে ভেজে নিন। এ বার কড়াইতে আরও সামান্য তেল বা মাখন দিয়ে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ ও ছোট এলাচ ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বার হলে তাতে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে পোস্ত, চারমগজ বাটা দিয়ে দিন। ভাল করে মশলা কষে গেলে তাতে ভেজে রাখা চিকেনগুলো দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। দেখবেন, তেল ছাড়তে শুরু করবে। রান্না হয়ে গেলে উপরে গরম মশলা দিয়ে ভাপে রাখুন আরও মিনিট পাঁচেক। নামিয়ে নিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন।