সরস্বতী পুজোয় বানিয়ে ফেলুন বরিশালি ইলিশ। ছবি: শাটারস্টক।
সরস্বতী পুজোয় অনেকেই বাড়িতেই জোড়া ইলিশ খাওয়ার চল! কিন্তু সরস্বতী পুজোয় ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ কেন রয়েছে জানেন? অনেকে আবার ওই দিন জোড়া ইলিশের বিয়েও দেন। সেটির কারণই বা কী? এই সংস্কৃতি পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের। এই সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সরস্বতী পুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। এই পদটি মূলত শ্রীপঞ্চমীর দিনে খাওয়ার রেওয়াজ। ওই একই দিনে সরস্বতী পুজো হয় বলে একই দিনে দু’টি পালিত হয়।
ইলিশ রান্না মানেই হয় ভাজা আর না হয় ইলিশের ঝোল। ওই দিন বাঙাল বাড়িতে গুড়ো মশলা দিয়ে ইলিশ রান্না হয় না। ঝোল, ঝাল বাদ দিয়ে বাটা মশলা দিয়ে ইলিশ রাঁধতে চান? সরস্বতী পুজোর দিন বানিয়ে ফেলুন বরিশালি ইলিশ। রইল রেসিপি।
উপকরণ
ইলিশ মাছ: ৬ টুকরো
কালো সর্ষে: ১ টেবিল চামচ
হলুদ সর্ষে: ১ টেবিল চামচ
নারকেল বাটা: ৪ টেবিল চামচ
টক দই: ১০০ গ্রাম
কালোজিরে: আধ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৫টি
নুন: স্বাদ মতো
হলুদ বাটা: ১ চা চামচ
লঙ্কা বাটা: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
মাছগুলিকে হলুদ বাটা ও নুন দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম জলে ১৫ মিনিট সর্ষের দানা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর অল্প নুন দিয়ে সর্ষে বেটে নিতে হবে। এরপর একটি বড় পাত্রে সর্ষে বাটা, নারকেল বাটা ও দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। নুন, লাল লঙ্কার বাটা, হাফ চা চামচ হলুদ বাটা, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিতে হবে। একটা কড়াইতে তেল গরম করে কালো জিরে ফোড়ন দিন। একটু নেড়েচেড়ে এর মধ্যে এ বার ওই বাটামশলার মিশ্রণটি দিয়ে নাড়তে হবে। ভাল করে কষে গেলে গরম জল দিয়ে দিন। ঝোল ফুটতে শুরু করলে নুন-হলুদ মাখানো মাছগুলি দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঝোলটা ঘন হয়ে এলে এর মধ্যে সর্ষের তেল দিয়ে আবার পাত্রটা ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিট তিনেক মতো রান্না করুন। এর পর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন বরিশালি ইলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy