Advertisement
E-Paper

শীতের মরসুমে গাজরের আচার বানাবেন, কোন ভুলগুলি করলে স্বাদ নষ্ট হতে পারে?

শীতের সব্জির তালিকায় থাকে গাজর। তা দিয়েই আচার বানাবেন? জেনে নিন পদ্ধতি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৪
রান্নায় ঝক্কি নেই। তবে কৌশলে ভুল হলে আচারের স্বাদ নষ্ট হতে পারে।

রান্নায় ঝক্কি নেই। তবে কৌশলে ভুল হলে আচারের স্বাদ নষ্ট হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।

এমনিতে বছরভর গাজর পাওয়া যায়। তবে শীতের মরসুমে তার মেলে টাটকা সব্জি। সেই গাজরের স্বাদ-গন্ধই আলাদা। বাজারে এখন আসতে শুরু করেছে তাজা গাজর। তা দিয়ে কী ভাবে বানাবেন আচার? জেনে নিন কৌশল।

পরিষ্কার

গাজরের খোসা ভাল করে ছাড়িয়ে খুব ভাল করে সব্জিটি পরিষ্কার করতে হবে। গরম জলে নুন দিয়ে কেটে নেওয়া গাজরগুলি ধুয়ে নিতে হবে।

কাটাকুটি

আচারের মূল উপকরণ গাজর। প্রথমেই বেছে নিতে টাটকা গাজর। তবে সরু নয়, একটু মোটা দেখে গাজর বেছে নেওয়া ভাল। এটি কাটতে হবে লম্বা সরু করে। সে সময় গাজরের মাঝে থাকা সাদা অংশটি ফেলে দেওয়া জরুরি।

সর্ষে

আচারের জন্য ব্যবহার করতে হবে সর্ষে। তবে তার পরিমাণ বেশি হলেই স্বাদ তেতো হয়ে যেতে পারে। ১ কেজি গাজরের আচার করলে ২ থেকে ৩ চা-চামচ সর্ষেই যথেষ্ট।

মশলা

গাজরের আচার তৈরির জন্য জিরে, ধনে, মেথি, সর্ষে ব্যবহার হয়। এই উপাদানগুলি গরম কড়াইতে হালকা নাড়িয়েচাড়িয়ে তার পর ব্যবহার করলে আচারের স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।

রোদে শুকোনো

গাজরের আচার বেশি দিন ভাল রাখতে চাইলে গাজর ভাপিয়ে নেওয়ার পর রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। একদম খটখটে করে নয় অবশ্য। তবে গাজরে যেন জল না থাকে, তা দেখতে হবে।

উপকরণ

১ কেজি গাজর

২ চা-চামচ হলুদ

স্বাদমতো নুন

৩ চা-চামচ মৌরি

১ চা-চামচ হলুদ সর্ষে

১চা-চামচ কালো সর্ষে

১ চা-চামচ কালো জিরে

১ চা-চামচ লঙ্কা গুঁড়ো

আধ চা-চামচ মেথিদানা

সামান্য হিং

১ কাপ সর্ষের তেল

পদ্ধতি

গাজর হাতের আঙুলের মতো আকারে সরু করে কেটে নিন। তার পর নুন এবং হলুদ মাখিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। নুন-হলুদ মাখানো গাজর ছিদ্রযুক্ত থালায় রেখে ভাপিয়ে নিতে হবে। ভাপিয়ে নেওয়ার পর রোদে রেখে তা কিছু ক্ষণ শুকিয়ে নেওয়া দরকার। গাজরে যেন কোনও জল না থাকে।

জিরে, মেথি, সর্ষে-সহ সমস্ত মশলা গরম কড়াইতে নাড়াচাড়া করে গুঁড়িয়ে নিন। এ বার কড়াইতে দিয়ে দিন সর্ষের তেল। তেল গরম হলে তাতে দিতে হবে সামান্য হিং, এক চা-চামচ সর্ষে এবং কালো জিরে ফোড়ন। গরম তেলে দিন লঙ্কাগুঁড়ো। তার পর গাজর এবং গুঁড়ো করা মশলা দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে-চাড়িয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আচার। পরিষ্কার কাচের পাত্রে আচার সংরক্ষণ করে রাখুন। রুটি, পরোটা, ভাত সব কিছুর সঙ্গেই আচারটি খাওয়া যাবে।

cooking tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy