Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
moon

China’s Moon: পৃথিবীতেই ভরশূন্য অবস্থায় থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি! কৃত্রিম চাঁদ বানাল চিন

ভূপৃষ্ঠের এই চিনা চাঁদে একেবারেই উবে যাবে পার্থিব মাধ্যাকর্ষণের মায়ার টান। ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি।

ভূপৃষ্ঠের এই চিনা চাঁদে একেবারেই উবে যাবে পার্থিব মাধ্যাকর্ষণের মায়ার টান। ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি। -ফাইল ছবি।

ভূপৃষ্ঠের এই চিনা চাঁদে একেবারেই উবে যাবে পার্থিব মাধ্যাকর্ষণের মায়ার টান। ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি। -ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:০৮
Share: Save:

মাধ্যাকর্ষণকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে এ বার পৃথিবীতেই! এই নীলাভ গ্রহেই এ বার ভরশূন্য অবস্থায় ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ ইচ্ছা!

কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়। কল্পনাকে সত্যি করে কৃত্রিম চাঁদ বানান চিন। জিয়াংশু প্রদেশের পূর্ব দিকে, শুঝাউ শহরে।

ভূপৃষ্ঠের এই চিনা চাঁদে একেবারেই উবে যাবে পার্থিব মাধ্যাকর্ষণের মায়ার টান। ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি।

চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে বানানো হয়েছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম চাঁদ। পৃথিবীতেই।

চিনা দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ জানিয়েছে, এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে প্রকল্পের কর্ণধার, ‘চায়না ইউনিভার্সিটি অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজি’-র অধ্যাপক লি রুইলিনের জন্য। মূলত তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই কৃত্রিম চাঁদ। লক্ষ্য, চাঁদে মানুষ নামানোর প্রস্তুতি শুরু করা। প্রশিক্ষণ নেওয়া। চাঁদের ‘মন’ বোঝা। ভরশূন্য অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ থাকতে গেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে পৃথিবীর উপগ্রহে, বায়ুমণ্ডল নেই বলে সূর্য থেকে প্রতি মুহূর্তে ছুটে আসা হানাদার ও মহাজাগতিক রশ্মির ঝাপটা থেকে কী ভাবে বাঁচানো যেতে পারে চাঁদের মাটিতে নামা নভশ্চরদের, তা পৃথিবীর মাটিতেই আগাম বুঝে নিতে এই কৃত্রিম চাঁদ বানানো হয়েছে। যে চাঁদে আগেভাগেই জেনে-বুঝে নেওয়া সম্ভব হতে পারে কোথায় কোথায় বরফের নীচে এখনও রয়েছে জল, বরফ হয়ে বা বরফগলা জল হয়ে। আর তা চাঁদের কোন কোন এলাকায় রয়েছে ঠিক কী পরিমাণে।

লি চিনা দৈনিকটিকে বলেছেন, ‘‘এর ফলে, আগামী দিনে চাঁদের কোথায় নেমে দীর্ঘ দিন থাকতে পারবেন মহাকাশচারীরা, গবেষণা ও অন্যান্য কাজে, তা পৃথিবী থেকেই বুঝে ফেলা সম্ভব হবে। উপগ্রহ, ল্যান্ডার, রোভার পাঠিয়ে আর চাঁদের ‘মন’ বোঝার চেষ্টায় ঘাম ঝরাতে হবে না।’’

খুব সামান্য মাধ্যাকর্ষণের অভিজ্ঞতা বিমানেও হয়, হয় ড্রপ টাওয়ারেও। কিন্তু তা খুবই অল্প সময়ের জন্য।

চিনের বানানো চাঁদে ভরশূন্য অবস্থায় থাকা যাবে যতক্ষণ ইচ্ছা। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, চাঁদে খুব সামান্য হলেও আছে মাধ্যাকর্ষণের টান। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ছয় ভাগের মাত্র এক ভাগ। যাকে ভরশূন্য অবস্থাই বলা যায়।

চিনের বানানো কৃত্রিম চাঁদের ব্যাস অবশ্য আদত চাঁদের মতো নয়। অনেকটাই কম। তবে এই কৃত্রিম চাঁদের পিঠ ভরিয়ে দেওয়া থাকবে আদত চাঁদের পাথর আর ধুলোবালি দিয়ে। যার ভার নেই বললেই হয়। এতটাই হালকা।

বেজিং ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আগামী দশকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে চিন। চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হবে স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন। যেখান থেকে প্রয়োজনে চাঁদে নামতে পারবেন নভশ্চররা। এ ছাড়াও পৃথিবীর কক্ষপথে আলাদা ভাবে একটি মহাকাশ স্টেশন ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে‌ বেজিং।

এই বছরে ‘কৃত্রিম সূর্য’ও বানিয়েছে চিন। এক লক্ষ কোটি ডলারের প্রকল্পে চিন এমন একটি নিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়্যাক্টর বানিয়েছে যেখানে সূর্যের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি তাপমাত্রার জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়েছে টানা ১৭ মিনিটের জন্য। সেই রিয়্যাক্টরে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে ১৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা সাত কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

moon China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE