মালদহের রতুয়া থেকে বন দফতরের জালে ধৃত হনুমানটির বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে রতুয়ার আড়াইডাঙ্গা এলাকায় তাণ্ডব চালানোর পর মঙ্গলবার বিকালে কাগাচিরা এলাকা থেকে হনুমানটিকে ধরা হয়। কলার সঙ্গে একাধিক ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হনুমানটিকে ধরেছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। যদিও হনুমানটির কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বন দফতরের কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। মালদহের ডিএফও কৌশিক সরকার বলেন, ‘‘হনুমানটির মৃত্যু হয়েছে। কী ভাবে তার মৃত্যু হল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ রতুয়া-২ ব্লকের আড়াইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের একবর্ণা সহ লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় গত দু’সপ্তাহ ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছিল হনুমানটি। তার কামড়ে পাঁচ স্কুল পড়ুয়া সহ অন্তত ২০ জন বাসিন্দা আহত হন। হনুমানকে ধরার দাবিতে গত সোমবার এলাকায় পথ অবরোধ করে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের পর অভিযানে নামে বন দফতর। প্রথমদিন ব্যর্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার হনুমানটিকে ধরা সম্ভব হয়। দু’দিনই হনুমানটিকে কলার সঙ্গে একাধিক ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিত্সার পর হনুমানটিকে আদিনার জঙ্গলে রাখা হবে বলে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই মালদহে চিকিত্সা চলাকালীন হনুমানটি মারা যায়। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ নাকি অন্য কারণে হনুমানটি মারা গেল তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy