মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং তাদের নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনকে ‘অবৈধ’ বলল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এক সঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ তাতে অংশ নিতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছিল। তার পরেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দল একটি বিবৃতিতে নির্বাচনী তফসিল (নির্ঘন্ট) ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা ঘোষণা করেছে।
ইউনূস সরকারের জমানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দল লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর ভাবে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গ্যাংয়ের অবৈধ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল পর্যবেক্ষণ করেছে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, বর্তমান দখলদার বাহিনী শতভাগ পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের অধীনে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক পরিবেশে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের মতামতের প্রতিফলন অসম্ভব।’’ হাসিনার দলের দাবি— নির্বাচনই জনপ্রিয়তা পরিমাপের মাপকাঠি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। আওয়ামী লীগ জনগণের সামনে দাঁড়ানোর মতো শক্তি, সাহস ও সামর্থ্য রাখে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে ১৩টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং তার মধ্যে ন’টিতে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে।’’
আরও পড়ুন:
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হতে চলেছে জানিয়ে হাসিনার দলের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ-সহ অন্যান্য সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে বাইরে রেখে নির্বাচনের আয়োজন আদতে সমগ্র দেশ ও জাতিকে একটা গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং বর্তমান বর্ণচোরা দখলদার সরকার বাদ দিয়ে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’’