Advertisement
E-Paper

টুকরো খবর

হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের উত্তরপাড়া গ্রামে। মৃতার নাম দুর্গাদাসী মণ্ডল (৮০)। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুর ঘাটে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময় হাতিটি তাঁকে তুলে আছাড় মারে। তারপর পায়ে পিষে চলে যায়। এর পরে হাতিটি লাভপুরের দুপসা গ্রামে জীতেন পত্রধর নামে এক ব্যক্তিতে তুলে আছাড় মারে।

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৪ ০৩:২৮

লাভপুরে বৃদ্ধাকে পিষে মারল হাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাভপুর

হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে লাভপুরের উত্তরপাড়া গ্রামে। মৃতার নাম দুর্গাদাসী মণ্ডল (৮০)। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুর ঘাটে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময় হাতিটি তাঁকে তুলে আছাড় মারে। তারপর পায়ে পিষে চলে যায়। এর পরে হাতিটি লাভপুরের দুপসা গ্রামে জীতেন পত্রধর নামে এক ব্যক্তিতে তুলে আছাড় মারে। মোষের তাড়া খেয়ে হাতিটি শান্তিনিকেতনের বনেরপুকুর ডাঙা, বল্লভপুর ডাঙায় ঢোকে। সেখান থেকে শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের আবাসিক বিদ্যালয়ের গেটের গ্রিল ভেঙে সোনাঝুরি রাস্তা ধরে বল্লভপুর অভয়ারণ্যে ঢুকে যায়। জেলা বনাধিকারিক সন্তোষা জি আর বলেন, “হাতিটি যাওয়ার পথে কিছু ক্ষতি করেছে। বাঁকুড়া থেকে হুলাপাটি এসেছে। বনকর্মীরা হাতিটিকে বল্লভপুর অভয়ারণ্যে আটকে রাখবে। পরে হুলাপার্টি হাতিটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাবে।”

কাঁকসায় বাড়ি ভাঙল দাঁতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা

কাঁকসায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে কাঁকসায় ঢুকে পড়েছে একটি দাঁতাল হাতি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁতালটি প্রথমে কাঁকসার তিলেরবুনি আদিবাসী পাড়ায় ঢুকে দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তারপরে বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে সেটি কাঁকসার রাজকুসুমের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। হাতিটি এখনও সেখানেই রয়েছে। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সে নিয়ে বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে। হাতিটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

হাতির দল ফের পুরুলিয়ায়

দু’দিন বাঁকুড়ার বনাঞ্চলে কাটিয়ে বুধবার সকালে হাতির দল ফের পুরুলিয়ার মানবাজার ২ ব্লকের জঙ্গলে ঢুকে পড়ল। সোমবার সকালে হাতির দল কংসাবতী নদী পেরিয়ে মানবাজারের ধানাড়া অঞ্চল দিয়ে বাঁকুড়া জেলার সীমানায় ঢুকে পড়ার পরে পুরুলিয়ার বন দফতরের কর্মীরা স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিলেন। এ বার সেই পালা বাঁকুড়ার। ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) দেবাংশু মল্লিক বলেন, “ওই দলটিকে গত দু’দিন ধরে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে দলটিকে পুঞ্চার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, হাতিদের গতিবিধি বোঝা ভার। ফের দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়তে পারে। বনকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” বুধবার দিনভর ১৭-১৮টি হাতির ওই দলটি বোরো থানার টোপরবাদ গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে থেকেছে। মানবাজারের রেঞ্জ অফিসার সুরেশ বর্মন বলেন, “পাশাপাশি কয়েকটি রেঞ্জের বনকর্মীদের নিয়ে বিকেলে হাতিদের এখান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হবে। তবে, জোর করে ওদের গতিপথ পরিবর্তন করতে গেলে বিপদ হতে পারে।”

মহিলাকে মারল দাঁতাল

বাড়ির উঠোনে ঢুকে ধানের বস্তা টেনে বের করছিল এক দলছুট দাঁতাল। সেই শব্দ শুনে স্বামী-স্ত্রী ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন। হাতির তাড়া খেয়ে স্বামী ঘরে ঢুকতে পারলেও স্ত্রী পারেননি। ঘরের সামনে ওই মহিলাকে শুঁড়ে আছড়ে পা দিয়ে থেঁতলে মারল সেই দাঁতাল। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার পলসনা গ্রামে মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কল্পনা মান (৫৫)। স্থানীয় ছান্দার পঞ্চায়েতের প্রধান সদানন্দ মান বলেন, “এলাকার জঙ্গলে বেশ কিছু দলছুট হাতি মাঝে মাঝেই তাণ্ডব চালাচ্ছে। হাতিগুলিকে সরানোর জন্য বনকর্মীদের বলা হয়েছে। মৃত মহিলার স্বামী এক জন প্রান্তিক চাষি। তিনি যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে কথাও বন দফতরকে জানিয়েছি।” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ওই গ্রামে একটি হাতিই ঢুকেছিল। এলাকায় বনকমীদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। সরকারি নিয়মমতো ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা করা হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy