এক সপ্তাহের ব্যবধানে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল আরও একটি হায়নার। বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়ার কোটশিলা ও ঝালদা স্টেশনের মাঝে বড়গ্রাম বাগান গ্রামের অদূরে রেল লাইনের পাশে রক্তাক্ত হায়নাটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরুলিয়ার ডিএফও ওমপ্রকাশ বলেন, ‘‘হায়নাটি পূর্ণবয়স্ক। ট্রেনের ধাক্কাতেই হায়নাটির মৃত্যু হয়েছে। জন্তুটির সামনের বাঁ পা কাটা পড়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রেললাইনের ধারে ধূসর ডোরাকাটা চিতাবাঘের মতোই একটি জন্তুকে পড়ে থাকতে দেখে রটে যায় চিতাবাঘের দেহ পড়ে রয়েছে। ক’দিন ধরেই আশপাশের এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন দফতর তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান পায়নি। এ দিন খবর পেয়ে উৎসাহী মানুষজন জড়ো হতে শুরু করেন রেললাইনের পাশে। কেউ কেউ নখ উপড়ে নেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঝালদা থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হায়নাটির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বন দফতর জানাচ্ছে, এই এলাকায় হায়না রয়েছে। বছর দেড়েক আগে কোটশিলার চৈতনডি গ্রামে একটি হায়না লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সেই হায়নাটিকে অবশ্য বন দফতর জালে আটকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেই হায়নাটি বর্তমানে ঝাড়গ্রামের মিনি জুতে রয়েছে। এ দিন বড়গ্রাম বাগানের অদূরে জঙ্গল থেকে হায়নাটি সম্ভবত শিকারের খোঁজেই লোকালয়ের কাছে এসেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন বনকর্তারা। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার সমীর বসু জানান, বাছুর, ছাগল এ ধরনের প্রাণী শিকারের জন্য রাতের বেলায় জঙ্গল থেকে হায়নারা লোকালয়ে আসতে পারে। এই হায়নাটিও সম্ভবত শিকারের খোঁজেই লোকালয়ে ঢুকেছিল। রেললাইন পার হতে গিয়ে বা কোনওভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
বন দফতর সূত্রের খবর. গত ৩ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে রঘুনাথপুর থানা এলাকার নুতনডি সেতুর কাছাকাছি দুর্ঘটনায় একটি হায়নার মৃত্যু হয়। উল্লেখ, এই হায়নাটি নিয়ে গত দু’বছরে জেলায় সাতটি হায়না এই ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হল।