Advertisement
E-Paper

ধানখেতে হাতির দেহ

ধান খেত থেকে উদ্ধার হল পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃতদেহ। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই সাতালি নাকাডালা গ্রামে দেহটি দেখতে পান বাসিন্দারা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে মেন্দাবাড়ি জঙ্গল থেকে দুটি হাতি গ্রামে ঢোকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:৪৫
সরানো হচ্ছে দাঁতাল হাতিটির দেহ। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।

সরানো হচ্ছে দাঁতাল হাতিটির দেহ। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।

ধান খেত থেকে উদ্ধার হল পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির মৃতদেহ। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই সাতালি নাকাডালা গ্রামে দেহটি দেখতে পান বাসিন্দারা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে মেন্দাবাড়ি জঙ্গল থেকে দুটি হাতি গ্রামে ঢোকে। এই হাতিটি ধান খেতে পড়ে গেলে তার সঙ্গীটি চিৎকার শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকায় চিলাপাতা রেঞ্জের এসিএফ ও পুলিশ পৌঁছায়। রাতেই মৃত হাতিটির সঙ্গীটিকে বনকর্মীরা ধাওয়া করে জঙ্গল ঢুকিয়ে দেন। মঙ্গলবার সকালে মৃত হাতিটকে ধান খেত থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তড়িদাহত হয়ে দাঁতাল হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দু’টি হাতি সাতালি নাকাডালা গ্রামে ঢোকে। হাতিগুলি ধানগাছ খাচ্ছিল। পরে হাতিগুলি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের দিকে যায়। সেখানে উষা কুজুরের বাড়ির বাঁশের মাচায় লাগানো কুমড়ো খায়। সেখান থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে দাঁতাল হাতিটি একটি ধান খেতে পড়ে মারা যায়। সঙ্গীকে মারা যেতে দেখে চিৎকার জুড়ে দেয় অন্য হাতিটি। সেই সময় ঘটনাটি নজরে আসে গ্রামবাসীদের।

বন্যপ্রাণ (৩) বিভাগের চিলাপাতা রেঞ্জের সহকারী বনপালরাম প্রসাদ বলেন, “রাতেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অন্য হাতিটিকে সুরক্ষিত ভাবে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেন বনকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, উষা কুজুর নামে এক মহিলার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের মূল তারটি ছেঁড়া। আমরা প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছি, কোনও ভাবে সেই তার থেকে বিদ্যুৎ লেগে হাতিটি মারা গিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিজয় শৈব বলেন, “প্রায় রাতেই গ্রাম হাতি ঢুকে ধান খেত, সুপারি বাগান সহ নানা ধরনের ফসল খেয়ে বাসিন্দাদের বাড়ি ঘর ভাঙে।” উষাদেবী জানান, তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। ৩-৪ দিন আগে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগের তারটি ছিঁড়ে যায়। তবে তা তিনি বিদ্যুৎ দফতরে জানাননি। সোমবার রাতেও তিনি বাড়ি ছিলেন না। পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে শুয়েছিলেন। রাতে হাতি মৃত্যুর খবর পান। বনকর্মীদর একাংশ মনে করছেন, বিদ্যুতের তারে লাগার পরে হাতিটি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। প্রায় ৩০০ মিটার যাওয়ার পরে সে মারা যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy