রহস্যের জট খুলল অনেকটাই।
জানা গেল, শনির সবকটি বলয় বা ‘রিং’ একই সময়ে জন্মায়নি।
এই সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহটির সবচেয়ে দূরের বলয় ‘এফ রিং’ আর তার ভেতর-বাইরে থাকা দুটি উপগ্রহ জন্মেছে একেবারে শেষ ধাপে। মানে, অন্য বলয়গুলির তুলনায় শনির ‘এফ রিং’-ই সবচেয়ে ‘তরুণ’! যদিও চেহারার বিচারে তা শনির অন্য বলয়গুলির তুলনায় সবচেয়ে সরু। চওড়া বড়জোড় কয়েকশো কিলোমিটার।
নাসার দুই মহাকাশযান ‘ভয়েজার’ ও ‘ক্যাসিনি’-র পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জাপানের ‘ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরি’ (এনএও বা ‘নাও’)।
শনির সবচেয়ে দূরের এই বলয়টিকে প্রথম খুঁজে পেয়েছিল ‘পাইওনিয়ার ১১’ মহাকাশযান, ১৯৭৯ সালে। শনির লক্ষ-লক্ষ কিলোমিটার চওড়া আদিতম বলয়গুলির চেয়ে অনেক-অনেক দূরে থাকা এই ‘এফ রিং’-এর ভেতর ও বাইরে রয়েছে দুটি উপগ্রহ। ‘প্রমিথিউস’ আর ‘প্যান্ডোরা’, যথাক্রমে।
নাসার দুই মহাকাশযান ‘ভয়েজার’ ও ‘ক্যাসিনি’-র পাঠানো ছবি ও তথ্যাদি জানাচ্ছে, শনির আদিতম চওড়া বলয়গুলিতে কয়েক লক্ষ-কোটি বছর আগে যে-পরিমাণ কণা বা কণিকা ছিল, এখন আর তা নেই। হারিয়ে যাওয়া ওই সব কণা বা কণিকাই সুদূর অতীতে বানিয়েছিল ‘এফ রিং’। গড়ে তুলেছিল দুটি উপগ্রহ- ‘প্রমিথিউস’ আর ‘প্যান্ডোরা’র শরীর। ‘প্রমিথিউস’-এক জন্ম হয়েছিল আগে। একেবারে শেষ ধাপে জন্মেছিল ‘প্যান্ডোরা’। শনির সবচেয়ে তরুণ বলয় ‘এফ রিং’-এর বাইরে।
এ বার এই সৌরমণ্ডলের আরও একটি গ্রহ ‘ইউরেনাস’-এর বলয় ও উপগ্রহগুলিরও জন্মের ইতিহাস জানা সম্ভব হবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।