Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Health

প্রেগন্যান্সিতে অনিদ্রা বাড়িয়ে দেয় প্রিম্যাচিওর ডেলিভারির ঝুঁকি

প্রেগন্যান্সিতে সুস্থ থাকতে ও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। এই সময়ে দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। অথচ প্রেগন্যান্সিতে সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় স্বস্তির ঘুম।

ইনসমনিয়া প্রেগন্যান্সিতে একটা বড় সমস্যা।

ইনসমনিয়া প্রেগন্যান্সিতে একটা বড় সমস্যা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৭ ১৫:৫৭
Share: Save:

প্রেগন্যান্সিতে সুস্থ থাকতে ও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। এই সময়ে দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। অথচ প্রেগন্যান্সিতে সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় স্বস্তির ঘুম। শারীরিক অস্বস্তি, স্ট্রেস, টেনসনের কারণে ইনসমনিয়া প্রেগন্যান্সিতে একটা বড় সমস্যা। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়ে মা ও শিশু দুজনের স্বাস্থ্যের উপরেই। অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গায়নকোলজি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেগন্যান্সিতে ইনসমনিয়ার সমস্যা প্রিম্যাচিওর ডেলিভারির ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। যারা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন তাদের এই সমস্যা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সিতে কী ভাবে বদলে যায় ঘুম?

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের উপর অনিদ্রার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে দেখেন। তারা ২ হাজার ১৭২ জন মহিলাকে বেছে নেন যারা প্রেগন্যান্সিতে স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ইনসমনিয়ায় ভুগেছেন। তাদের সঙ্গে ২ হাজার ১৭২ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার তুলনামূলক পরীক্ষা করেন, যারা এমন কোনও সমস্যায় ভোগেননি। দেখা গিয়েছে স্লিপ ডিজঅর্ডারে ভোগা মহিলাদের ১৫ শতাংশ ৩৪ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। অন্য দিকে যাদের স্বাভাবিক ঘুম হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রি-টার্ম ডেলিভারির সমস্যা দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রেগন্যান্সিতে ঠিক কতটা ঘুম জরুরি?

এই গবেষণার মুখ্য গবেষক জেনিফার ফেল্ডার জানান, প্রেগন্যান্সিতে ঘুমের সমস্যা হওয়া, ঘুমের প্যাটার্ন বদলে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। অস্বস্তি, বার বার প্রস্রাব পাওয়া বা কোমরে ব্যথার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের অস্বাভাবিকতার সঙ্গে প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও, অনিদ্রার কারণে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন হয় শরীরে। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যামনয়টিক ফ্লুইডে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন-৬ ইনফ্লেমেটারি প্রোটিনের উপস্থিতি ফলে প্রি-টার্ম ডেলিভারি কারণ।

ইউসিএসএফ প্রি-টার্ম বার্থ ইনিশিয়েটিভের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ৫০ লক্ষ প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির কারণ গর্ভবস্থায় অনিদ্রার সমস্যা। যা অনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কম বয়সে শিশুমৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE