হাই হিল। এই ফ্যাশন কোনও দিন পুরনো হওয়ার নয়। রেড কার্পেট থেকে অফিস পার্টি, সব জায়গাতেই এর জনপ্রিয়তা সমান। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এই স্টাইল কিন্তু খুব একটা আরামদায়ক নয়। হাই হিল পরার পর পায়ের পাতা, হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় ভোগের অনেকেই। জেনে নিন হাই হিল পরলে কী ভাবে যত্ন নেবেন পায়ের।
১।জুতোর সাইজ- হাই হিল কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই স্টাইল পছন্দ হলেই কিনে ফেলেন। বাকি মাপ, আরামের কথা ভুলে যান। ফলে পায়ে ঠিকঠাক ফিট না হয়ে পা ব্যথা বাড়ে। নিজের পায়ের মাপে জুতো কিনুন।
২।পায়ের ধরন- সকলের পায়ের পাতার ধরন এক রকম হয় না। কারও পায়ের পাতায় খাঁজ বেশি থাকে, তো কারও পায়ের পাতা হয় সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট। নিজের পায়ের পাতার ধরন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন। ঠিক কোন ধরনের জুতো আপনার পরা উচিত্ সে বিষয়ে জেনে নিন।
৩।মোটা হিল- হিল যত সরু হবে তত ব্যালান্সে সমস্যা হবে। ব্যথাও বাড়বে। তাই জুতো কেনার সময় অপেক্ষাকৃত মোটা হিলের জুতো বাছুন।
৪।পাতলা সোল- সোল আরামদায়ক না হলে পায়ের পাতায় ব্যথা হবেই। তাই পাতলা সোলের জুতো এড়িয়ে তুলুন। প্ল্যাটফর্ম হিলের জুতোর সোল মোটা হয়। এই ধরনের জুতোয় পায়ে ব্যথা কম হবে।
৫।ব্রেক নিন- যদি হিল পরে সারাদিন থাকতে হয় তাহলে মাঝে মাধে ব্রেক নিন। একটানা পরে না থেকে বসার সময় পা থেকে জুতো খুলে বসুন। আঙুল নাড়াচাড়া করুন, পা স্ট্রেচ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
৬।পা ঢাকা জুতো- শুধু পায়ের পাতা নয়, এমন জুতো বাছুন যাতে পায়ের উপরের অংশও বেশ কিছুটা ঢাকা থাকে। শীতকালে সারাদিন হাই হিল বুট পরে থাকলেও বিশেষ সমস্যা হয় না। গরম কালে অ্যাঙ্কল স্ট্র্যাপের জুতো পরতে পারেন। পা যত ঢাকা থাকবে জুতোর সাপোর্ট তত ভাল হবে।
৭।ফুট প্যাড- হিল পরার জন্য বাজারে ফুট প্যাড কিনতে পাওয়া যায়। ডিম্বাকৃতি সিলিকন জেলের এই ফুট প্যাড জুতোর মধ্যে এমন ভাবে রাখুন যাতে পায়ের বলের নীচে থাকে। এই ফুড প্যাড ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৮।জুতো খোলার পর- বাড়ি ফিরে জুতো খোলার পর পা স্ট্রেচ করুন। আঙুল মুড়ে, গোড়ালি ঘুরিয়ে পায়ের হালকা এক্সারসাইজ করুন।
৯।সেঁক- পায়ের ব্যথা কমাতে সবচেয়ে ভাল কাজ করে সেঁক। ঠান্ডা সেঁক দিতে চাইলে আইস ব্যাগ চেপে ধরুন পায়ের পাতায়। অথবা গরম জলে নুন ফেলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
আরও পড়ুন: পায়ের পাতায় ব্যথা? আরাম পেতে এগুলো রোজ করুন
১০।মাসাজ- যদি আপনার নিয়মিত হাই হিল পরার অভ্যাস থাকে, তবে নিয়মিত ফুট মাসাজও কিন্তু জরুরি। বাড়ি ফিরে ফুট মাসাজ করুন। রোজ সম্ভব না হলে মাসে দু’বার অন্তত পার্লারে গিয়ে ফুট মাসাজ নিন।