Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন তামিমরা

শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারেরা। কিন্তু প্রত্যেকের চোখেমুখে তখনও ভয়ের ছায়া। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে ঘরে বসে শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল, আমরা কত ভাগ্যবান।

 স্বস্তি: নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পরে মুশফিকুর (মাঝে)। এএফপি

স্বস্তি: নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পরে মুশফিকুর (মাঝে)। এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫০
Share: Save:

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হত্যালীলার আতঙ্ক এখনও কাটেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।

শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারেরা। কিন্তু প্রত্যেকের চোখেমুখে তখনও ভয়ের ছায়া। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে ঘরে বসে শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল, আমরা কত ভাগ্যবান। নিউজ়িল্যান্ডের মতো দেশে এমন সন্ত্রাসের ঘটনা সত্যিই অকল্পনীয়।’’

কী ভাবে যে তাঁরা ওই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত কাটিয়েছেন, তা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের গলা বারবার কেঁপে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কেউ ঘুমাতে পারিনি। শুধু ভাবছিলাম, কী ভাবে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরতে পারব। কী নারকীয় ঘটনার যে সাক্ষী থেকেছি, তা ভাষায় ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা আমার নেই।’’

একই মন্তব্য বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালের। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা বেশ কঠিন। তিনি বলেছেন, ‘‘যে পরিস্থিতির মুখে আমাদের পড়তে হয়েছিল, তা মানসিক ভাবে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়েছে আমাদের। সেটা কাটিয়ে উঠতে অনেকটা সময় লাগবে।’’ তবে তামিমের বিশ্বাস, দ্রুত এই আতঙ্ক কাটিয়ে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা ভেবে আনন্দ হচ্ছে যে, নির্বিঘ্নে আমরা সকলে দেশে ফিরতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফেরাতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস, দ্রুত এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব।’’

সুস্থ শরীরে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরাতে স্বস্তিতে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজ়মূল হাসান জানিয়েছেন, এই আতঙ্কের ঘোর কাটিয়ে উঠতে ক্রিকেটারদের কয়েক দিনের ছুটি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারলে ওরা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলেই মনে করি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ক্রাইস্টচার্চে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার মুহূর্তে একটা চিন্তাই কাজ করছিল। যে কোনও মূল্যে ওদের সুস্থ শরীরে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ক্রিকেটারদের মতো গত ২২ ঘণ্টা আমিও ছিলাম উৎকণ্ঠার মধ্যে। ওদের মতো আমিও বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE