রান নিচ্ছেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও ময্চের সেরা অভিষেক রমন। ছবি পিটিআই থেকে।
রঞ্জি ট্রফিতে মরসুমের প্রথম জয় পেল বাংলা।চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তামিলনাড়ুকে এক উইকেটে হারাল মনোজ তিওয়ারির দল। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থানে থাকল বাংলা। জয়ের জন্য ২১৬ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জেতে তারা।
চিপক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তামিলনাড়ু। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাবা অপরাজিতের শতরানের সৌজন্যে ২৬৩ রান তোলে তারা। প্রথম ইনিংসে বাংলার হয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন ঈশান পোড়েল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৯ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তামিলনাড়ুর এম মহম্মদ ও রাহিল শাহের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনেই মূলত নুইয়ে পড়ে বাংলার ব্যাটিং লাইন আপ। অভিষেক রমনের লড়াই ছাড়া কেউ সে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অফস্পিনার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় দুরন্ত বোলিং বাংলাকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। ১৪ ওভার বল করে মাত্র ২২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। সেই সঙ্গে তামিলনাড়ু আটকে যায় ১৪১ রানে। জয় পেতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার দরকার ছিল ২১৬ রান। ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলার স্কোর ছিল ৮৭ রান।
আরও পড়ুন: বল হাতে ভাঙলেন জমে যাওয়া জুটি, তারপর কী করলেন বিরাট?
ম্যাচের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য বাকি ১২৯ রান করার লক্ষ্যে ক্রিজে নেমেছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও আমির গনি। কিন্তু শনিবার ব্যাট করতে নেমে মাত্র পাঁচ রান যোগ করেন মনোজ। এরপর সুদীপ চট্টোপাধ্যায় নেমে দলের হাল ধরলেও অপরপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলা। ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হয়ে শ্রীবত্স গোস্বামী যখন ফিরে যাচ্ছেন প্যাভিলিয়নে তখন বাংলা দলের স্কোর সাত উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান। বাংলার জেতা নিয়ে তখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর পরেই প্রদীপ্ত প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করতে থাকেন সুদীপ।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যদ্বাণী জোন্সের, জিতবে ভারতই
জয়ের জন্য যখন আর ৯ রান বাকি, তখন নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন সুদীপ। ফের টেনশনের চোরা স্রোত বইতে শুরু করে বাংলা শিবিরের ড্রেসিংরুমে। সেই টেনশন আরও চরমে ওঠে যখন জয়ের জন্য ১ রান বাকি থাকতেই রান আউট হয়ে যান অশোক দিন্দা। সে সময় মনে হচ্ছিল, তাহলে কী এই ম্যাচেও আসবে না বহু কাঙ্খিত জয়? তখনই ম্যাচ উইনিং শটটি বেরিয়ে আসে প্রদীপ্তর ব্যাট থেকে। সেই সঙ্গে মরসুমে প্রথম রঞ্জি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় বাংলা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫১ রান করার সুবাদে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন বাংলা দলের ওপেনার অভিষেক রমন।
(ক্রিকেটের খবর,ফুটবলের খবর, টেনিসের খবর, হকির খবর - খেলার খবরেরসেরা ঠিকানা আমাদের খেলা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy