কে শেষ হাসি হাসবেন, আলেসান্দ্রো নাকি খালিদ?
ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। বাঙালির চিরকালীন এক আবেগ জড়িয়ে থাকে এই ম্যাচে। যতই বিশ্বকাপ, ইউরো, লা লিগা, প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আগ্রহ থাক, রাত জেগে দেখার উৎসাহ থাক, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আবেগ তাতে কমে না।
আই লিগে রবিবারের ডার্বি নিয়েও একই ভাবে ময়দান সরগরম। এটা ঘটনা, জিততে বেশি তাগিদ রয়েছে মোহনবাগানের। ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট মোহনবাগানের। ছয় নম্বরে রয়েছে তারা। শেষ বারের দেখায় জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানই। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি সবুজ-মেরুন ক্লাব।
তবে সেই মোহনবাগানের থেকে এই মুহূর্তের মোহনবাগান চরিত্রগত ভাবে আলাদা। সেটা ছিল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর জমানা। কিন্তু শঙ্করের পদত্যাগের পর এখন বাগানের কোচ খালিদ জামিল। যিনি গত মরসুমে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। স্বাভাবিক ভাবেই পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে কোচ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার বাড়তি জেদ সঙ্গী হবে তাঁর।
আরও পড়ুন: তিন সেটের লড়াইয়ে কুইতোভাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন নেয়োমি ওসাকা
আরও পড়ুন: ফরোয়ার্ডদের দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায় রয়েছি
যদিও খালিদ কখনও ডার্বিতে জেতেননি। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে কখনও হারাতে পারেননি মোহনবাগানকে। এ বার মোহনবাগানের জার্সিতে তিনি কি পারবেন ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে, সেটাই দেখার। ফিট সনি নর্দে তাঁর প্রধান অস্ত্র। তুরুপের তাস। আই লিগে প্রথম ডার্বিতে খেলেননি সনি। ফলে, তাঁরও নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ আছে।
অন্যদিকে, আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস আবার প্রথম ডার্বিতে জিতেছিলেন। যা ছিল তাঁর প্রথম ডার্বি। ফলে, ডার্বি জেতার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। যা রবিবারের পরিকল্পনা গড়তে তাঁর সহায়ক হবে। জবি জাস্টিন, কোলাদোর ফর্মে থাকাও তাঁর বড় শক্তি। তবে ডার্বি নিয়ে শেষ কথা কখনই বলা যায় না। মাঠে কোন দল কেমন মানসিকতা নিয়ে নামবে, কী ভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে, সেটাই ঠিক করে দেয় ডার্বির ফল।
(মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকে। কলকাতা ডার্বি, আইলিগ থেকে আইএসএল, কলকাতা ময়দানের সমস্ত খবর জানতে পড়ুন আমাদের খেলা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy