সৌরভের সঙ্গে শ্রীনাথ। ছবি: রয়টার্স।
জাতীয় নির্বাচকদের নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। আর তাই অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধেও সাড়া দেননি জাভাগল শ্রীনাথ।
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল ভারত। সেই সফরে জোর করে শ্রীনাথকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। যা মানতে পারেননি প্রাক্তন পেসার। তাই সেই বছরেই ইংল্যান্ড সফরে খেলতে যাননি তিনি। কর্নাটকি পেসারের কথায়, “ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সফরে নির্বাচকরা আমাকে বিশ্রাম নিতে বলেছিল। এই ধরনের কথাবার্তার সময় সাধারণত আমিই এগিয়ে এসে বলি যে বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ বার নির্বাচকরা আমাকে সরাসরি বিশ্রাম দেওয়ার কথা বলল। যা মেনে নিতে পারিনি। হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। চাইনি আমার কেরিয়ার নিয়ে অন্যরা সিদ্ধান্ত নিক।”
আরও পড়ুন: ‘পাগল একটা, কাঁদাবি নাকি’, কুলদীপকে কেন বললেন চহাল?
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শাহিদ আফ্রিদি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরের পরই চার টেস্টের সিরিজের জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিল ভারত। শ্রীনাথ তখন সেখানে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছেন। শ্রীনাথের কথায়, সেই সময় ভারত অধিনায়ক সৌরভ তাঁকে ফোন করেছিলেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু হতাশ শ্রীনাথ সেই অনুরোধ রাখেননি। কিন্তু পরে সৌরভের ডাকে সাড়া দেন তিনি। ২০০৩ বিশ্বকাপেও খেলেন। যান বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরেও। বিশ্বকাপে তিনি ১১ ম্যাচে নেন ১৬ উইকেট।
জাভাগল শ্রীনাথ বলেছেন, “পুরো ইংল্যান্ড সফরই মিস করেছিলাম। সৌরভ যদিও বলেছিল, ‘তুমি ইংল্যান্ড সফরের দলে যোগ দাও।’ কিন্তু আমি আপসেট ছিলাম। বলেছিলাম, ‘না, আমি যোগ দেব না।’ কাউন্টি না খেলে তখন আমার দেশের হয়ে খেলতেই পারতাম। পরে রাগ পড়ে এলে আমি জাতীয় দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলাম। যাই হোক, কোনওদিন কোনও পেসারের রাস্তায় বাধা হয়ে উঠতে চাইনি। আমি খুশি। কোনও আফশোস নেই আর। সম্মান নিয়ে সরে যাওয়া অনেক ভাল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy