কাসিমের পোস্টে বিতর্ক তুঙ্গে। ছবি: কাসিম আইদারার ফেসবুক পোস্ট থেকে
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিনেও বির্তক পিছু ছাড়ল না চেন্নাই সিটি এফসির। ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরণ ঘটালেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের ফুটবলার কাসিম আইদারা। তাঁর অভিযোগের তির মিনার্ভা পঞ্জাবের দিকে।
কোয়ম্বত্তূর ও কোঝিকোড়ে একই সঙ্গে শুরু হয়েছিল দুটো ম্যাচ। কোঝিকোড়ে ইস্টবেঙ্গল গোকুলমকে হারালেও আই লিগ এ বারও অধরা থেকে যায় লাল-হলুদের কাছে। মিনার্ভা পঞ্জাবকে মাটি ধরিয়ে চেন্নাই সিটি প্রথম বার ভারতসেরা হল। আর ম্যাচের পরেই ফেসবুকে কাসিম লিখেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। তবুও দ্বিতীয় হয়েই শেষ করতে হল। যে দল দ্বিতীয় হাফে তিন জন বিদেশি প্লেয়ারকে তুলে নেয় সেই রকম ক্লাব দিয়ে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে না। মিনার্ভা অ্যাকাডেমি ফুটবল অ্যান্ড ক্রিকেট ক্লাব ফুটবলের সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দিচ্ছে।’’
কাসিম গত বার খেলেছেন মিনার্ভা পঞ্জাবের হয়ে। পঞ্জাবের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সে বার। সেই তিনিই আঙুল তুললেন তাঁর প্রাক্তন ক্লাবের দিকে। মিনার্ভা পঞ্জাব অবশ্য তিন জন বিদেশি ফুটবলারকে তুলে নেয়নি দ্বিতীয়ার্ধে। হুয়ান কুয়েরো বারাসো ও রোল্যান্ড বিলালাকে তুলে নেয় মিনার্ভা। কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের সিইও সঞ্জিৎ সেন অবশ্য কাসিমের ফেসবুক পোস্টের কথা শুনে বলেন, ‘‘কাসিমের ফেসবুক পোস্টের কথা আমি জানি না। ওর সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি।’’
কাসিম আইদারার সেই পোস্ট। যা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি: কাসিম আইদারার ফেসবুক পেজ থেকে।
আরও পড়ুন: ১৮ বছর আগের স্মৃতি কি ফিরবে? প্রার্থনায় বসেছেন প্রথম বারের নায়ক
মিনার্ভা কর্ণধার রঞ্জিৎ বাজাজ অবশ্য কাসিমের অভিযোগকে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাজাজ বলেন, ‘‘কাসিমকে বলে দেবেন আমরা তিন জন নয়, দু’ জন বিদেশি ফুটবলারকে পরিবর্তন করেছি। রোল্যান্ডের চোট ছিল। ও আর পারছিল না। সেই কারণে ওকে তুলে নেওয়া হয়। আমার ছেলেরা লড়ে গিয়েছে শেষ পর্যন্ত।’’
কিন্তু কী কারণে এমন মন্তব্য করতে গেলেন কাসিম? তাহলে কি দ্বিতীয়ার্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে দুর্বল করে দেওয়া হল মিনার্ভাকে? কাসিমের মন্তব্যে উঠছে সেই প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy