—ফাইল চিত্র
নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র বার্সেলোনা থেকে প্যারিস সাঁ জারমাঁতে (পিএসজি) যোগ দেওয়ায় বিতর্ক চরমে উঠেছিল। সে সময় এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ব্রাজিলীয় তারকা যে, খেলাই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এমনিতেই বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। অনেকে বলেন, মাঠে তিনি চোট পাওয়ার অভিনয় করেন। তাঁর ‘উদ্দাম’ জীবনযাপন নিয়েও নানা কথা উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু নেমার সব চেয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন রেকর্ড মূল্যে বার্সেলোনা ছাড়ার পরে। যা নিয়ে এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘‘ফুটবলের প্রতি আমার ভালবাসা কমবে না। কিন্তু জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত এসেছে যখন খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতাম, যখন আমাকে কেউ পছন্দই করে না, তখন আর কেন খেলব?’’
নেমার এখানেই থামেননি। যোগ করেছেন, ‘‘নানা সমালোচনায় মাথা গরম করে বাড়ি ফিরতাম। তবু নিজেকে শান্ত করতে ভাবতাম, এই জায়গাটায় পৌঁছতে কী কী করেছি। হয়তো ফুটবলের প্রতি নিখাদ ভালবাসার জন্যই নিজেকে শান্ত করে পারতাম, বাস্তবেও ফিরে আসতাম। ভাবতাম আমি কত ভাগ্যবান! ফুটবলের জন্যই আমার পরিবার কতটা সুখি হতে পেরেছে।’’ খানিক স্মৃতিচারণ করে পিএসজির মহাতারকা আরও বলেছেন, ‘‘স্যান্টোস ফুটবল ক্লাবে অভিষেক, ওখানেই প্রথম ট্রফি জয়ের স্বাদ পাওয়া— এ সবই অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এমনিতে ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল বার্সেলোনায় খেলার। ওখানে খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছি। সেখান থেকে প্যারিসে আসা। ফুটবল জীবনের এইসব মুহূর্ত কখনও ভুলতে পারব না।’’
নেমার জানিয়েছেন, ফুটবল জীবনে কখনও তিনি মানসিক চাপে পড়েননি। তাঁর কথায়, ‘‘চাপ নিয়ে ভাবিনি। উল্টে যে কোনও চাপ সামলে নেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে। ব্রাজিল দলের ১০ নম্বর ফুটবলার হওয়া। পিএসজিতেও তাই। এ সবই অনেকের কাছে বিরাট চাপের ব্যাপার হতে পারে। আমার কাছে কিন্তু নয়।’’
এ দিকে ফরাসি লিগ ওয়ানে অ্যাঙ্গার্সকে পিএসজি হারাল ১-০ গোলে। ৭০ মিনিটে একমাত্র গোলটি করলেন লেভঁ কুজাভা। চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা নেমার পুরো ম্যাচ খেললেও হলুদ কার্ড দেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy