উচ্ছ্বসিত দিয়েগো।অভিবাদন সমর্থকদের উদ্দেশে। বার বার এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। ফাইল চিত্র।
আবেগের কোনও মাপকাঠি হয় না যে! আর তিনি তো ঈশ্বরপ্রতিম। অন্তত অনুরাগীরা তাই বলে থাকেন। কখনও ছক ভাঙেন, কখনও বা বেহিসাবী জীবনযাপন। প্রতিভার তো আসলে কোনও বিচার হয় না। তাই তিনি জিতে যান প্রতি বার। দিয়েগো মারাদোনা। মাথার উপর ঝুলছে বিশ্বকাপে টিকে থাকার খাঁড়া। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। স্বচক্ষে দেখলেন সেন্ট পিটার্সবার্গে নাইজিরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর দল, লিওনেল মেসির দল। আর এই ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার ১৯৮৬-র বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক মারাদোনা আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর্জেন্টিনার একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দিয়েগো। পরে ব্যক্তিগত বিমানে তিনি মস্কো উড়ে যান।
বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। আসলে খেলছিলেনও মনে মনে। কখনও পাশে বসে থাকা বন্ধুকে জড়িয়ে ধরছেন। কখনও নিজের মুখ দু’ হাতে চেপে ধরছেন। কখনও বা লাফিয়ে উঠছেন। ডানা মেলার মতোই মেলে দিচ্ছেন দু’হাত। মাঠে নেই, কিন্তু মাঠে যেন তিনিই দাপিয়ে বেরাচ্ছেন।
প্রথমে মেসি, তারপর মার্কোস রোহোর গোল। জিতে গিয়েছে তাঁর দল। এরপরই মারাদোনা নাইজিরীয় সমর্থকদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। ক্যামেরায় ধরাও পড়ে উত্তেজিত মারাদোনার সেই ছবি। তার জন্য সমালোচনার মুখেও পড়েন। এর সামান্য পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন দিয়েগো। দেখা যায়, দু’জন চিকিৎসক দেখছেন তাঁকে। কিছু পরে অনেক কষ্টে চোখ খুললেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর উত্তেজনাই তাঁর এই হঠাত্ অসুস্থতার কারণ। স্থিতিশীল দিয়েগো পড়ে ব্যক্তিগত বিমানে মস্কো উড়ে যান।
আবেগের কোনও মাপকাঠি হয় না, বার বার তাই প্রমাণ করেন দিয়েগো। ছবি: এএফপি
রাশিয়ায় এ বারের বিশ্বকাপে তাঁকে আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে থাকতে দেখা গিয়েছে। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি হাতছাড়া করায় যখন মেসির সমালোচনা হচ্ছিল, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ান মারাদোনাই।
আরও খবর: ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে চেনা ছন্দে মেসি, মানরক্ষা হল আর্জেন্টিনার’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy