Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Dhaka Premier League Cricket Club

বিক্রি হয়ে গিয়েছে ঢাকার দু’টি ক্রিকেট ক্লাব

গত ২২ জুন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ( ডিপিএল) শেষ হয়েছে। বিসিবির দেওয়া শর্তে লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে ক্রিকেটারদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, কলাবাগান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং ক্রিকেট কোচিং স্কুল ( সিসিএস) সেই শর্ত মানেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ১৫:৫৩
Share: Save:

গত ২২ জুন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ( ডিপিএল) শেষ হয়েছে। বিসিবির দেওয়া শর্তে লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে ক্রিকেটারদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, কলাবাগান ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং ক্রিকেট কোচিং স্কুল ( সিসিএস) সেই শর্ত মানেনি। তিন কিস্তিতে ক্রিকেটারদের টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ৯৮ লাখ টাকা বকেয়া রেখেছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ব্রাদার্স ইউনিয়ন শেষ কিস্তির ৪০ শতাংশ এখনও দেয়নি। সবচেয়ে কম বাজেটের দল কলাবাগান অ্যাকাডেমি এবং সিসিএসের প্লেয়ার্স পেমেন্টের চিত্র এতটাই করুণ যে, বাধ্য হয়ে এই ২টি ক্লাবের ক্রিকেটারদের দাবির মুখে এক কোটি আট লাখ টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে দিতে বাধ্য হয়েছে বিসিবি। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্লেয়ার্স পেমেন্টের শর্ত পালন করতে ব্যর্থ দুই ক্লাবে প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে প্রথম বিভাগে অবনমন হয়েছে। দল দু’টিকে নিলামে তুলে বিক্রি করেছে বিসিবি। নিলামে কলাবাগান অ্যাকাডেমি কিনেছে গাজি গ্রুপ এবং সিসিএস ক্লাবকে বেক্সিমকো লিমিটেডের কাছে বিক্রি করেছে বিসিবি। সম্প্রতি বিসিবির পক্ষ থেকেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন,‘‘ক্লাব দু’টির ক্রিকেটারদের পেমেন্টের একটা বড় অংক বিসিবির অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয়েছিল এবং ক্লাবগুলোকে বলা হয়েছিল বিসিবিকে সেটা মিটিয়ে দিতে। কিন্তু যথাসময়ে সেই অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি। তাই নিলামে ক্লাব দু’টিকে বিক্রি করতে হল।’

তবে প্লেয়ার্স ড্রাফটের বিধিতে কোথাও ক্রিকেটারদের পাওনা মেটাতে ক্লাব ব্যর্থ হলে সেই ক্লাবকে নিলামে তুলে বিক্রি করা হবে, এমন শর্ত না থাকায় ক্লাব বিক্রির এই প্রক্রিয়াকে নিয়ম বহির্ভূত মনে করছেন সিসিএস-এর সাধারন সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী নিকু,‘‘আমাদেরকে না জানিয়েই ক্লাব দু’টি বিক্রি করেছে বিসিবি, এ খবর শুনেছি। ক্রিকেটারদের পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হলে সেই ক্লাব বিক্রি করা হবে, প্লেয়ার্স ড্রাফটের কোথাও এমন কঠোর শর্তের উল্লেখ নেই। বিসিবির অ্যাকাউন্ট থেকে আমার ক্লাবের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে ২৫ আগস্ট চিঠি দিয়ে ক্লাবকে জানানো হয়েছিল। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছি। সেখানে বলেছিল আমার ক্লাবের অনুকূলে আর্থিক অনুদান যেভাবে দেওয়া হয়েছে, তা একসঙ্গে একটা হিসাব দিতে। প্লেয়ার্স পেমেন্টের বাকি যে অর্থ থাকবে তা আমরা কিস্তিতে মেটানোর আর্জি জানিয়েছিলাম। এই বিষয়টি নিয়ে বিসিবি আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।’’

প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে প্রথম বিভাগে অবনমন হওয়া ক্লাব দু’টির মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজের দল কলাবাগান অ্যাকাডেমির কাছে বিসিবির পাওনার পরিমাণ ৫০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। সেখানে সিসিএস-এর কাছে বিসিবির পাওনা ৫৮ লাখ টাকা। যে কারণে ক্লাব দু’টিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টিকে থাকা অন্য দু’টি ক্লাবের ক্ষেত্রে তা কেন প্রযোজ্য হয়নি, সে প্রশ্ন নিকুর। তবে আইনি প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের শাসক সংস্থা বিসিবি ক্লাব দু’টিকে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন, ‘‘আইনজীবিদের সঙ্গে বসে কথা বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নিলামে দল দু’টিকে বিক্রি করা হয়েছে।’’

আরও খবর

সাব্বির আসলে টি২০ সেনসেশন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dhaka Premier League BCB
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE