Advertisement
E-Paper

কাপ আনল প্রায় নিখুঁত বোলিং আর ক্যাপ্টেন কুল

এশিয়া কাপ ফাইনালে কোন কোন জায়গায় বিপক্ষকে মেরে বেরিয়ে গেল ভারত। বিশ্লেষণে দীপ দাশগুপ্ত।হার্দিকের ১৪ নম্বর ওভারটা বাদ দিলে ভারতের বোলিং প্রায় নিখুঁত। তিন ওভারে বুমরাহ ১৩ রান দিল। সঙ্গে উইকেট।

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৭

বোলিং

হার্দিকের ১৪ নম্বর ওভারটা বাদ দিলে ভারতের বোলিং প্রায় নিখুঁত। তিন ওভারে বুমরাহ ১৩ রান দিল। সঙ্গে উইকেট। অশ্বিনও ৩ ওভারে দিল ১৪। হার্দিক ওরকম একটা ওভার করার পর শেষ ওভারে অত চাপ সামলে বুমরাহর সাত রানে বেধে রাখাটা সোজা নয়। হার্দিকের ওভারে ২১-এর জায়গায় ১১ রান উঠলে ১৫ ওভারে ধোনিদের টার্গেট দাঁড়াত ১১০। তা হলে একেবারে নিখুঁত বোলিং হত।

ক্যাপ্টেন্সি

ধোনির সব পরিকল্পনাই খেটে গিয়েছে। বোলার রোটেট করা, ফিল্ড প্লেসিং, মাঝের ওভারগুলোয় চাপের সাঁড়াশিতে ফেলা। তামিম, সাকিব, মুশফিকুরদের উইকেট তোলার জন্য যে চাপটা খুব দরকার ছিল। অশ্বিনকে ডেথে না এনে ১০ নম্বর ওভারে আনার ফাটকাটাও কাজে লেগে গেল। সাকিবের উইকেটটা ওই সময় পাওয়ায় বাংলাদেশ পুরো চার্জে যেতে পারেনি।

পার্টনারশিপ

বিরাট-ধবনের ৯৪ রানের ভীষণ পরিণত পার্টনারশিপ। রোহিতের মতো ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান দু’ওভারের মধ্যে আউট হওয়ার পরও চাপে পড়েনি ওরা। মাঝে নাসের হুসেন দু’ভারে মাত্র সাত রান দেওয়ার পরও প্যানিক করেনি। ওদের পার্টনারশিপ দেখে কখনও নড়বড়ে মনে হয়নি। যখন পেরেছে সুযোগ নিয়েছে, হিসেব কষে ঝুঁকিও। রানিং বিটউইন দ্য উইকেটও খুব ভাল ছিল।

শিখর ধবন

এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শিখরের টি-টোয়েন্টিতে গড় ছিল ১.৫। দুটো ম্যাচে তিন রান করেছিল। এই রেকর্ডের ছায়াটা ফাইনালে পড়তে দেয়নি। ওর ৭০ শতাংশ রান এসেছে উইকেটের পিছনে। বোঝাই যাচ্ছে বল ব্যাটের মাঝে না আসলেও শিখর হাল ছাড়েনি। পড়ে থেকেছে।

ব্যাটসম্যান ধোনি

ক্যাপ্টেন কুল। এল, দেখল, ফিনিশ করল। একটা শটও দেখে মনে হয়নি তাড়াহুড়ো করে নিয়েছে বা অযথা চাপে পড়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। দেখে, শুনে কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়ে গেল। কেউ ভাবতে পেরেছে তখন সাত বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যাবে ভারত?

mahendra singh dhoni asia cup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy