Advertisement
E-Paper

‘ক্রিকেটে স্বজনপোষণ থাকলে রোহন গাওস্কর তো টেস্টও খেলত’

আকাশ চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে স্বজনপোষণের ধারা নেই বললেই চলে।স্বজনপোষণ যদি থাকতই, তা হলে নামী ক্রিকেটারদের সন্তানরা দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়ে যেতেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ১৯:০৪
বাংলা থেকে রঞ্জি খেলে জাতীয় দলে ডাক পান রোহন। জাতীয় দলের দরজা খোলাই লক্ষ্য অর্জুনের। ছবি—টুইটার।

বাংলা থেকে রঞ্জি খেলে জাতীয় দলে ডাক পান রোহন। জাতীয় দলের দরজা খোলাই লক্ষ্য অর্জুনের। ছবি—টুইটার।

বলিউডে স্বজনপোষণ হয়। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার পরে এমন দাবিই করছেন অনেকে। বলিউডের মতো ভারতীয় ক্রিকেটেও কি স্বজনপোষণের ধারা প্রচলিত রয়েছে?

দেশের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে স্বজনপোষণের ধারা নেই বললেই চলে।স্বজনপোষণ যদি থাকতই, তা হলে নামী ক্রিকেটারদের সন্তানরা দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়ে যেতেন।

একশো সেঞ্চুরির মালিক সচিন তেন্ডুলকরের ছেলে অর্জুন ও দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্করের ছেলে রোহনের উদাহরণ টেনে আকাশ বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেললে তবেই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: পেস আক্রমণই অস্ট্রেলিয়ায় ভরসা দিচ্ছে ভারতকে, দাবি আথারটনের

আকাশ বলেন, ‘‘দেশের ক্রিকেটে যদি স্বজনপোষণ চলত, তা হলে রোহন তো টেস্ট ম্যাচও খেলতে পারত। কিন্তু সে রকম তো কিছু হয়নি। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ভাল খেলে তবেই জাতীয় দলে ডাক পায় রোহন। ওর নামের সঙ্গে গাওস্কর জুড়ে থাকলেও মুম্বই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। বাংলার হয়ে খেলে জাতীয় দলে ঢুকতে হয়।’’ রোহন গাওস্কর দেশের হয়ে কেবল ১১টি ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০০৪ সালে। একটি টেস্ট ম্যাচেও নামেননি। যদিও ১১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ তিনি খেলেছেন।

সচিনের ছেলে অর্জুনও দারুণ প্রতিভা। ইংল্যান্ডের নেটে বল করেছিলেন। তাঁর গতি ইংল্যান্ডের তারকা জনি বেয়ারস্টোকে বেগ দিয়েছিল। আকাশের মতে, সচিনের ছেলে বলে বাড়তি সুযোগসুবিধা পাননি অর্জুন। আকাশ বলেছেন, ‘‘সচিনের ছেলে বলে অর্জুনকে কেউ বলেনি, এসো দলে যোগ দাও। ভারতীয় দলেও ওর যাতায়াত নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার একটাই শর্ত। আর তা হল ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে।অন্য ইন্ডাস্ট্রি ও ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য একটাই। আর তা হল, ব্রেট লি, শোয়েব আখতার, মিচেল স্টার্ক, যশপ্রীত বুমরারা বোলিং করার সময়ে মনে করে না ওরা কার ছেলেকে বল করছে।’’ শোয়েব-লিদের আগুনের গোলা সামলানোর জন্য শেষ কথা বলবে প্রতিভাই।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy