একের পর এক ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সিএবি-র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনটি পুরস্কারের জন্য মঞ্চে তাঁর নাম ডাকা হয়। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পাশাপাশি রঞ্জিতে বাংলার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সেই সঙ্গে ‘জেন্টলম্যান ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু অভিমন্যু কী করে আসবেন। তিনি তো তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে চতুর্থ ইনিংসে অপরাজিত ৬২ রান করে সাত উইকেটে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে রান না পাওয়ার খিদে মিটিয়ে নিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। এখনও একটি বেসরকারি টেস্ট বাকি। সেখানে আরও বড় রান করার লক্ষ্য নিয়েই নামবেন তিনি।
দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ৩১৮ রানে শেষ হয়ে যায় ক্রেগ ব্রাথওয়েটদের ইনিংস। জবাবে মাত্র ১৯০ রানে অলআউট ভারত ‘এ’। দ্বিতীয় ইনিংসে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও সন্দীপ ওয়ারিয়রের দাপটে ১৪৯ রানে শেষ হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। ১৭ রানে পাঁচ উইকেট নেন গৌতম। তিন উইকেট কেরল পেসার সন্দীপের। ২৮১ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা একেবারেই সহজ ছিল না। বল প্রচণ্ড ঘুরতে শুরু করে। সঙ্গে অসমান বাউন্স সাহায্য করে পেসারদের। সেই উইকেটেও জেতার তাগিদ দেখাতে শুরু করেন ‘এ’ দলের ওপেনিং জুটি। ১৫০ রানের জুটি গড়েন প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল (৬৮) ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৮১)। তাঁরা ফিরে যাওয়ার পরে ঈশ্বরন ও আনমোলপ্রীত সিংহ (অপরাজিত ৫১) মিলে দলকে সহজেই জিতিয়ে দেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেসরকারি টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই আনন্দবাজারকে অভিমন্যু বলেছিলেন, ‘‘কিছু প্রমাণ করার নেই। শুধু ভাল ইনিংস উপহার দিয়ে যেতে চাই।’’ প্রথম ম্যাচে তাঁর ব্যাট হয়তো কথা বলেনি। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও সে ভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু শনিবার সেই অভাব পূরণ করে দিলেন বাংলার ওপেনার।