টেবল টেনিস খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ ফেডারেশনের তরফেও তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত যে সব খেলোয়াড়দের নামে অভিযোগ উঠেছে তাঁরা কোনও টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারবেন না।
সোমবার ফেডারেশনের সভায় খেলোয়াড়দের বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়। তার পরেই ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর এই অভিযোগ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এ দিন তা স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন। যে বা যারা বয়স ভাঁড়িয়ে খেলছেন বা জন্মের একাধিক শংসাপত্র রয়েছে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে ফেডারেশনের কাছে তাদের আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়েছে বলে এ দিন নর্থ বেঙ্গল টেবল টেনিস ফেডারেশনের তরফে শিলিগুড়ির খেলোয়াড়দের অভিভাবকদের জানিয়েও দেওয়া হয়। অভিভাবকদের একাংশ জানান, ওই সময়ের পরে খেলোয়াড়দের কাছে দুই বা ততোধিক শংসাপত্র থাকলে তাদের খেলা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর পরেই অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ধনরাজ চৌধুরী বলেন, “বয়স ভাঁড়িয়ে খেলার অভিযোগ গুরুতর। যে সমস্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বয়স ভাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে বা জন্মের একাধিক শংসাপত্র রয়েছে কোনও প্রতিযোগিতায় এখন তাঁরা অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। ফেডারেশনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। যদি তাদের জন্মের শংসাপত্র ঠিক থাকে তা হলে পরবর্তীতে খেলতে পারবেন।” সেই মতো উত্তরবঙ্গ টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা ৭ জন খেলোয়াড় আপাতত কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। তাদের একাংশের নামে ফেডারেশনের কাছে এবং পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিলিগুড়ির টেবল টেনিস খেলোয়াড়ের বাবা জিতেন জানা। তাতে হাকিমপাড়ার ৩ জন, বাবাবুপাড়া, পরেশনগর, সুভাষপল্লি এবং দেশবন্ধুপাড়ার ১ জন করে খেলোয়াড় রয়েছেন। জেলা, রাজ্যস্তরে এমনকী জাতীয়স্তরেও তাঁরা অনেকে অংশ নিয়েছেন।