ফর্মে: অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেরার পরেও সফল রোহিত। ফাইল চিত্র
চোটের জন্য ছ’মাস মাঠের বাইরে থাকার পরে ফিরে আসা। তাও আবার স্বমহিমায়। এটা মোটেই সোজা নয়— বলছেন রোহিত শর্মা, সম্প্রতি যাঁর অভিজ্ঞতা এমনই।
হ্যামস্ট্রিং সমস্যা মেটাতে অস্ত্রোপচারের জন্য গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয় রোহিত শর্মাকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে ফেরার পর থেকে তিনি দশটা ম্যাচে তিনটে সেঞ্চুরি ও কয়েকটা হাফ সেঞ্চুরিও করেন। এমন সফল প্রত্যাবর্তনের পরে রোহিতের মুখে এমন কথা মোটেই বেমানান নয়।
রোহিত সংবাদসংস্থাকে তাঁর ফিরে আসা নিয়ে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, ‘‘একটা বড় অস্ত্রোপচারের পর ফিরে আসা মোটেই সোজা নয়। সবচেয়ে কঠিন মনের ভয়গুলো দূর করা। বেশিরভাগটাই মানসিক। ভয়টা নিজেকেই দূর করতে হয়।’’ তাঁর নিজের ভয় কাটানো নিয়ে মুম্বইয়ের এই তারকা বলেন, ‘‘আমি চোট সারিয়ে ফিরি আইপিএলে। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেনসি করতে করতে ভয়টা ভুলেই গিয়েছিলাম।’’
সম্প্রতি রোহিতের ব্যাটিং দেখে বিশেষজ্ঞদের বলতে শোনা গিয়েছে, ওকে দেখে মনে হয়, ব্যাটিং কত সোজা। কিন্তু রোহিত বলছেন, ‘‘আমার ব্যাটিং দেখে অনেকের তা মনে হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ব্যাটিং মোটেই অত সোজা নয়।’’ আর ক্রিকেটারদের ক্লান্তি বলেও কিছু থাকতে নেই বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা তো আর ৬০ বা ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে পারব না। তাই ঠাসা সূচির অজুহাত দিয়ে বেশি ক্লান্ত হলে চলে না।’’
শ্রীলঙ্কায় রহস্য স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয় যে ম্যাচে ছ’উইকেট পান সেই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন রোহিত। আকিলার বলের রহস্য কী ভাবে সমাধান করেছিলেন সে দিন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ওর গুগলির গতি কম। কিন্তু লেগ-ব্রেকগুলোর গতি বেশি। এই রহস্য স্পিনাররা লুজ বল দিতে বাধ্য। ধনঞ্জয় কিন্তু কোনও ব্যতিক্রম নয়।’’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে রোহিতের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিপক্ষকে সামান্য কম গুরুত্ব দিতে চান না রোহিত। বলেন, ‘‘বিপক্ষের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোন পরিবেশে তারা খেলছে, সেটা জানা। ওদের শক্তি-দুর্বলতা জানাই। কিন্তু কোন পরিবেশে ওরা কী ভাবে তা কাজে লাগাবে, সেটাই গুরুত্বপর্ণ ব্যাপার। সেটাই বুঝতে হবে।’’
বিরাট কোহালির সহকারির নতুন দায়িত্ব যে উপভোগ করছেন, তা জানিয়ে রোহিত বলেন, ‘‘আমি সন্মানিত। আমার কাজ বিরাটকে মাঠে সাহায্য করা। যখনই ওর কোনও সাহায্যের দরকার পড়ে, তখন এগিয়ে আসাটাই আমার কাজ।’’
নিহত কোচ: দুষ্কৃতী হামলায় মারা গেলেন দুই ক্রিকেট কোচ গিভেন এনকোসি ও চার্লসন মাসেকো। ঘটনাটি ঘটে প্রিটোরিয়ায় লডিয়াম ওভাল স্টেডিয়ামে। হামলার কারণ এখনও পুলিশের অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy