ডোপ করেননি। কিন্তু তিন বার ওয়াডার (ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি) নিয়ম ভেঙে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে বিতাড়িত হলেন আন্দ্রে রাসেল। ৩১ জানুয়ারি থেকে নির্বাসন বহাল হবে। যার ফলে এ বছরের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স হয়তো পাবে না তাদের অন্যতম ম্যাচউইনারকে।
রাসেলের আইনজীবী জানান যে, শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করার চিন্তা চলছে। রাসেল আবেদন করবেন কি না, তা আদৌ সফল হবে কি না, সময় বলবে। তবে সেটা হলেও এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে তাঁর নির্বাসনমুক্ত হয়ে ওঠার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। বেঙ্কি মাইসোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টুইটও করে দেন যে, এটা তাঁদের কাছে বড় ক্ষতি। ‘‘তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, রাসেলের জন্য খুব খারাপ লাগছে। ও নিশ্চয়ই ভেঙে পড়েছে,’’ টুইট করেন কেকেআরের সিইও। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান সুপার লিগ খেলার কথা ছিল রাসেলের। তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ইতিমধ্যেই ইংরেজ পেসার স্টিভন ফিনকে তাঁর বদলি হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে।
২০১৫ সালে তিন বার ওয়াডার হোয়্যারঅ্যাবাউটস ক্লজ ভেঙেছিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। মানে তিনি কোথায় আছেন, ওয়াডাকে জানাননি রাসেল। বিশ্ব ডোপ বিরোধী সংস্থার নিয়মে যে অপরাধ ডোপ টেস্ট ফেল করার সমান। সেই নিয়মেই এত কড়া শাস্তি পেলেন রাসেল। কিংস্টনের এক স্বাধীন অ্যান্টি-ডোপিং প্যানেল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের শাস্তি এ দিন ঘোষণা করে। প্যানেলে ছিলেন জামাইকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিক্সেথ পামার, হিউ ফকনার এবং ডক্টর মার্জরি ভ্যাসেল।
গত বছর মার্চে রাসেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিল জামাইকার অ্যান্টি ডোপিং কমিশন। অভিযোগ— ১ জানুয়ারি, ১ জুলাই এবং ২৫ জুলাই তিনি কোথায় আছেন তা জানাননি রাসেল। তাঁকে বারবার ফোন করা, ই-মেল ও চিঠি পাঠানো সত্ত্বেও। আত্মপক্ষ সমর্থনে রাসেলের বক্তব্য ছিল, ব্যাপারটা তিনি অবহেলা করেননি। তিনি নিজে গোটা বিশ্বে ক্রিকেট খেলে বেড়ান এবং নথিপত্রের ব্যাপারে খুব একটা ওয়াকিবহাল নন বলে দু’জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ওয়াডার নিয়ম মতো ফর্ম পাঠানোর। কিন্তু বিপক্ষ আইনজীবী দাবি করেন, ক্রিকেটারদের অ্যান্টি ডোপিং সেশনে ফর্ম ভরা নিয়ে ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। এটা চূড়ান্ত অবহেলা ছাড়া কিছু নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy