আন্দ্রে ইনিয়েস্তা যে দিন বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ছিলেন না। শুক্রবার রাতে ক্যাম্প ন্যু-তে প্রাক্তন সতীর্থর বিদায় সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না জাভি হার্নান্দেজ। মঞ্চের মধ্যেই কেঁদে ফেললেন তিনি!
২৭ এপ্রিল সাংবাদিক বৈঠক করে বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার সময় ইনিয়েস্তাও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। বার বারই চোখের জল মুছেছেন। কান্না সামলাতে পারেননি সেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত সতীর্থরাও। শুক্রবার রাতে আরও এক বার কাঁদলেন তাঁরা।
আজ, রবিবার ক্যাম্প ন্যু-তে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন ইনিয়েস্তা। প্রতিপক্ষ লা লিগা টেবলের দশম স্থানে থাকা রিয়াল সোসিদাদ। দর্শকরা যাতে তাঁকে বিদায় জানাতে পারেন তার জন্য ম্যাচের পরে মাঠেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। কারণ, শুক্রবার রাতের এই অনুষ্ঠানে শুধু আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বার্সেলোনার প্রাক্তন এবং বর্তমান ফুটবলার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। ছিলেন ক্লাবের কর্মীরা ও ইনিয়েস্তার ঘনিষ্ঠরা। মাঝমাঠের শিল্পীকে বিদায় জানাতে অভিনব পরিকল্পনা করেছিল বার্সেলোনা। ২২ বছরে ইনিয়েস্তা যে ৩২টি ট্রফি জিতেছেন, তা দিয়েই সাজানো হয়েছিল মঞ্চ।
প্রথমে মঞ্চে ওঠেন বার্সেলোনার প্রাক্তন তারকা স্যামুয়েল এটো। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম দিনই ইনিয়েস্তা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। সব কঠিন কাজই ওর জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল।’’ এর পরেই মঞ্চে ওঠেন জাভি। টানা তেরো বছর তিনি ইনিয়েস্তার সঙ্গে খেলেছেন। বলছিলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই ইনিয়েস্তার সব কিছু নিখুঁত। ও দলের বাকিদের সামনে উদাহরণ ছিল।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ইনিয়েস্তা শুধু অসাধারণ ফুটবলারই নয়, দলের প্রকৃত নেতা ছিল। সব সময় শুধু দলের কথাই ভাবত।’’ এর পরেই আর আবেগ সামলাতে পারেননি মাঝমাঠের শিল্পী। ইনিয়েস্তাকে বলছেন, ‘‘যেখানেই খেলো, তুমি কিংবদন্তি।’’ ইনিয়েস্তা বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনাকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই সহজ ছিল না। মনে হচ্ছে যেন, নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’’