অকপট: এ বার নতুন অঙ্ক কষা শুরু এটিকে গুরুর। ফাইল চিত্র
পরপর দু’ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে পৌঁছে গেলেও দলের খেলায় একেবারেই খুশি নন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। বৃহস্পতিবার তিনি বলে দিলেন, ‘‘আমরা খারাপ খেলে ম্যাচ জিতেছি। রক্ষণ জমাট ছিল বলে গোল খাইনি।’’
চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে বুধবার ম্যাচ জিতলেও ভাল খেলতে পারেনি কলকাতা। বল পজেশন থেকে শুরু করে গোলে শট সব ক্ষেত্রেই এটিকে ছিল পিছিয়ে। হাবাস দলের পারফরম্যান্সে অখুশি হলেও এটাও বলছেন যে, ‘‘আমরা একটা নির্দিষ্ট রণনীতি দলের মধ্যে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। কখনও আমরা দারুণ খেলেও জিততে পারছি না। অন্য দিন খুব খারাপ খেলেও তিন পয়েন্ট পাচ্ছি। বুধবার ছিল সেই দিন।’’
এ দিন দুপুরে চেন্নাই থেকে শহরে পৌঁছোয় হাবাস-বাহিনী। ৭ অক্টোবর ফের যুবভারতীতে ম্যাচ জামশেদপুরের সঙ্গে। সুব্রত পালের দল দুটি ম্যাচ খেলে দু’টিতেই জিতেছে। ফলে যথেষ্ট সতর্ক এটিকের স্প্যানিশ কোচ। তা সত্ত্বেও দু’দিন ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়ে রবিবার থেকে ফের প্রস্তুতি শুরু করতে চান কলকাতাকে প্রথম বার আই লিগ জেতানো কোচ। আনাস এডাথোডিকা চেন্নাই থেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, প্রণয় হালদার, প্রবীর দাসেরাও হোটেল থেকে বাড়ি গিয়েছেন। ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণরা শহরের নানা জায়গায় ঘুরবেন বলে ঠিক করেছেন।
হাবাস অবশ্য পরের ম্যাচ জেতার জন্য নতুন অঙ্ক শুরু করেছেন এ দিন থেকেই। রেফারিং নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তিনি। প্রকাশ্যে বললে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন, সে জন্য ড্রেসিংরুমে ফিরে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। যেমন চেন্নাইতে ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে তিনি পুরো দলকে ফের বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচেই রেফারিং আমাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। ওটা আমাদের হাতে নেই। ফলে সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।’’ বুধবারের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন সোসাইরাজ। তাঁর চোট অবশ্য গুরুতর নয়। খেলার মাঝপথে সোসাইরাজকে তুলে নিলেও তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হাবাস। বলে দিয়েছেন, ‘‘কোনও ফুটবলারকে আলাদা করে গুরুত্ব দিই না। তবে সোসাইরাজের কাছ থেকে আমরা যা চাইছি ও সেটা করছে। রক্ষণ সামাল দিচ্ছে। আবার আক্রমণেও যাচ্ছে।’’ প্রবীর দাসও নতুন পজিশনে যেভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন তাতে খুশি কলকাতার কোচ।
হাবাস রেফারি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি কিছু না বললেও তাঁর সহকারী সঞ্জয় সেন অবশ্য কলকাতায় ফিরে এ দিন বললেন, ‘‘আমরা সমস্ত কোচিং স্টাফ হোটেলে ফিরে বারবার চেন্নাইয়িন ম্যাচের ভিডিও দেখেছি। রয় কৃষ্ণকে ওদের নয় নম্বর যেভাবে ফেলে দিল সেটা পেনাল্টি ছিল। আর হাভিয়ার হার্নান্দেস গোলটা করার সময়ে অফসাইডে ছিল না। কিছু করার নেই। রেফারির বিরুদ্ধে তো আর কিছু বলা যায় না। তাই ড্রেসিংরুমে সব ফুটবলারকে সতর্ক করা হচ্ছে। ’’
এ দিকে জামশেদপুরের সঙ্গে ম্যাচের পর ২৪ নভেম্বরের আগে খেলা নেই রয় কৃষ্ণদের। ভারতের বিশ্বকাপ যোগ্যতা নির্ণায়ক দুটি ম্যাচের জন্য বন্ধ থাকবে আইএসএল। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর ফের ভুবনেশ্বরে গিয়ে ওড়িশার সঙ্গে ম্যাচ খেলার কথা ছিল হাবাসের দলের। কিন্তু ভুবনেশ্বরে মাঠ সমস্যার জন্য ম্যাচটি সরে আসতে পারে যুবভারতীতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy