মেসি বাইরে থাকলেও মাঠে জিতল আর্জেন্তিনা

আর্জেন্তিনা: ২ (দি মারিয়া, বানেগা)
চিলি: ১ (ফুয়েনজালিডা)

এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোপা হারানোর দুঃখ সুদে-আসলে ভুলল আর্জেন্তিনা। মেসি ছাড়াই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে চিলিকে হারিয়ে শতবর্ষের কোপা-যাত্রা শুরু করল তারা। ফল ২-১। দি মারিয়া- বানেগার জোড়া গোলের পর চিলির হয়ে ইনজুরি টাইমে একমাত্র গোল করে কিছুটা মুখরক্ষা করলেন হোসে ফুয়েনজালিডা। মঙ্গলবার সান্তা ক্লারায় জিতে পুরো তিন পয়েন্ট পকেটে পুড়ল আর্জেন্তিনা।

গত বছর জুলাইতে কোপার ফাইনালে এই চিলির হাতেই পরাস্ত হয়েছিলেন নীল-সাদা স্ট্রাইপ জার্সিধারীরা। তবে মেসির খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও মনোবলে ঘাটতি পড়েনি তাঁদের। আর মাঠে নেমে পুরো পয়েন্ট ছিনিয়ে এ বার গ্রুপ ‘ডি’-র শীর্ষে থেকে শেষ আটে যাওয়ার রাস্তাও অনেকটাই সহজ করে ফেলল তারা। তাদের পরের দু’টি ম্যাচ পানামা আর বলিভিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

গত মাসেই হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে ম্যাচে পিঠে চোট পান মেসি। আর্জেন্তিনা কোচ জেরার্দো মার্টিনো শেষ মিনিট পর্যন্ত তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করলেও তাতে সফল হননি। তবে মাঠের বাইরে বসে থাকলেও তার ফায়দা তুলতে পারেনি চিলি। এ দিন কিন্তু মাঠে পাঁচ বারের ব্যালন বিজেতা মেসির অভাব অনুভব করেনি আর্জেন্তিনা। ম্যাচ শুরুর দু’মিনিটের মাথায় নিকোলাস গাইতানের জোরাল শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই শুরু। এর পর জেরার্দো মার্টিনোর ছেলেদের দখলে ছিল ম্যাচের সিংহভাগই। ৫১ আর ৫৯ মিনিটে অ্যাঞ্জেলো দি মারিয়া আর এভার বানেগার পর পর গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। যার ধাক্কা সামলাতে পারেনি চিলি। নব্বই মিনিটের মধ্যে ধীরে ধীরে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। ৩০ মিনিটের মাথায় গোল করার কাছাকাছি এসেছিলেন অ্যালেক্সি সাঞ্চেজ। কিন্তু, দুর্দান্ত সেভ করেন আর্জেন্তিনীয় গোলকিপার সের্জিও রোমেরো। এর পরে অ্যাটাকে গেলেও ৯০ মিনিটের মধ্যে তা গোলে পরিণত করতে পারেননি কোনও চিলিয়ান। শেষমেষ গোল আসে ইনজুরি টাইমে। ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন পরিবর্ত ফুটবলার ফুয়েনজালিডা।

আরও পড়ুন

প্রায়শ্চিত্তের রাস্তায় প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত মেসি