রেফারিদের উপর মহমেডান কর্তাদের হামলা! ইস্টবেঙ্গল কর্তা এবং বিপক্ষ দলের কোচ রঘু নন্দীর মধ্যে তুমুল ঝামেলা এবং হাতাহাতি বড় ক্লাবের জড়িত থাকার ঘটনা এখনও ঝুলে। আইএফএ শাস্তি দেয় কি না তা নিয়ে ময়দানে আলোচনাও তুঙ্গে। ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব কিন্তু নিয়েই চলেছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। প্রথম ডিভিশন লিগে বড়িশা-গ্রিয়ার ম্যাচে সহকারী রেফারিকে মারধর করেন গ্রিয়ারের পাঁচ ফুটবলার ও দুই কর্মকর্তা। সাত জনের জেলও হয়। এ দিন লিগ সাব কমিটির সভায় সাত জনকেই দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হল। সাম্প্রতিক কালে এ রকম শাস্তি হয়নি। উয়াড়ি-ইয়ং কর্নার ম্যাচেও রেফারিদের গালাগাল করে উয়াড়ির ছ’জন ফুটবলার লাল-কার্ড দেখেন, যাঁদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হল।
এ দিকে ইস্টবেঙ্গল-টালিগঞ্জ অগ্রগামীর খেলা পিছিয়ে গেল। সুব্রত ভট্টাচার্যদের দাবি মেনে ম্যাচ হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। দু’দলের কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচ হিসাবে। আগের সূচিতে টালিগঞ্জ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১০ তারিখ। সে দিন ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে হবে পুলিশ এসির বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল মাঠে খারাপ আলোর জন্য বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুলিশ এসি ম্যাচ। ১৩ সেপ্টেম্বর সাই-এর সঙ্গে ম্যাচ ডুডুদের। রাজ্য সংস্থা সূচি বদলানোয় ইস্টবেঙ্গল ক্ষুব্ধ। তারা ম্যাচটি খেলতে চাইছে না। ইস্টবেঙ্গল চিঠি দিয়ে আইএফএ-কে জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ম্যাচ তারা খেলবে না। আগের সূচি অনুযায়ী টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে খেলবে। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার এ দিন বললেন, “ক্রীড়াসূচি পরিবর্তনের পর আমরা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি, ম্যাচ খেলব না। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন ক্রীড়াসূচি পরিবর্তন করা হল?” আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বললেন, “ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচ ছিল টালিগঞ্জের সঙ্গে। সেটাই তো থাকছে। আশা করছি, ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy