ভয়ঙ্কর জনসন। ছবি: এএফপি
দুই মিচেল, জনসন আর মার্শের দাপটে পঞ্চম অ্যাসেজ টেস্টে ইংল্যান্ডকে আরও কোণঠাসা করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। গত দিনের শেষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে স্কোর ছিল ১০৭-৮। এ দিন তা ১৪৯ রানে শেষ হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৮১। তাই অজি অধিনায়ক ইংরেজদের ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড ২০৩-৬। ইংরেজ ক্যাপ্টেন কুক এক দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করেও দিনের শেষে স্মিথের বলে শর্ট লেগে ভোগসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। আপাতত জোস বাটলার (অপরাজিত ৩৩) ও মার্ক উড দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। রবিবার চতুর্থ দিন তাঁরা ব্যাট করতে নামবেন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১২৯ রানে পিছিয়ে থেকে। সারা দিন ধরে ক্রিজে পড়ে থেকে এই রান তুলতে পারবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যে ফর্মে রয়েছেন, তাতে তেমন সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে হচ্ছে। নাথান লিঁয়র দুটি উইকেটের পাশাপাশি জনসন, পিটার সিডল, স্মিথ ও মার্শ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। সিরিজ হারলেও মাইকেল ক্লার্কের বিদায়ী টেস্টে যদি ইংল্যান্ডকে ইনিংসে হারিয়ে শেষ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া, তা হলে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন ক্লার্ক। অন্য দিকে কুক চলতি সিরিজে বিজয়ী অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করে ফেললেও তাঁর ব্যাটে রান না আসা নিয়ে কিন্তু সমালোচনা চলছিলই। সিরিজে এখনও পর্যন্ত কুকের সর্বোচ্চ রান লর্ডসে ৯৬। তার পর চলতি অ্যাসেজে দু’নম্বর হাফ সেঞ্চুরি এল এ দিনই। সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক। কিন্তু তাঁর ৮৫ রানের মাথায় স্মিথের একটি লেগব্রেক উইকেটের মধ্যে ঢুকে তাঁর ব্যাটের ভিতরের কানায় লেগে সোজা শর্ট লেগে ভোগসের হাতে জমা হয়ে যায়। ইনিংস হার বাঁচানোর শেষ আশা ছিলেন কুকই। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ায় এখন ইংল্যান্ডের লড়াই আরও কঠিন হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy