Advertisement
E-Paper

ফেরার পথে অনেক পরীক্ষা স্মিথের

আইসিসি-র নিয়ম বলছে, সংজ্ঞা হারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেটের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০৪
আহত: লর্ডসে আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাটিতে স্মিথ। ফাইল চিত্র

আহত: লর্ডসে আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাটিতে স্মিথ। ফাইল চিত্র

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘কংকাশান সাব’ হিসেবে ব্যবহার করা হয় মার্নাস লাবুশানেকে। শনিবার জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে স্টিভ স্মিথ আঘাত পাওয়ার পরে রবিবার স্মিথকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। রবিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে সংজ্ঞা হারান স্মিথ। ঝিমুনি ভাবও লক্ষ্য করা যায়। তাই দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন স্মিথকে খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

আইসিসি-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী ‘কংকাশান সাব’ হিসেবে যে পরিবর্ত ক্রিকেটার নামবেন তিনি প্রথম একাদশের বাকি ক্রিকেটারদের মতোই ব্যাটি, বোলিং করতে পারবেন। যেমন রবিবার স্মিথের পরিবর্তে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রান করে গেলেন লাবুশানে। কিন্তু যাঁকে পরিবর্ত করা হল, তিনি সেই ম্যাচে আর নামতে পারবেন না। আইসিসি-র নিয়ম বলছে, সংজ্ঞা হারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেটের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। তার পরে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করার পরেই পেসারের বিরুদ্ধে অনুশীলন করতে দেওয়া হবে তাঁকে। স্মিথ যদিও রবিবারই বলেছিলেন, তৃতীয় টেস্ট খেলতে তাঁর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে আর মাত্র তিন দিন পরে হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্ট। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে স্মিথ মাঠে ফিরতে পারবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক কর্তা অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘তৃতীয় টেস্টের জন্য ফিট হওয়ার মতো সময় স্মিথের হাতে নেই। কারণ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত অনুশীলনের সময় পাবে না ও। পুরোপুরি সুস্থ হলেও বুধবারের আগে ব্যাট হয়তো ও ধরতে পারবে না।’’

অস্ট্রেলিয়া দলের ডাক্তার জানিয়েছেন, দু’রকমের পরীক্ষা দিয়ে স্মিথকে প্রমাণ করতে হবে যে ও সুস্থ। প্রথম পরীক্ষার নাম ‘স্ক্যাট ৫’। দ্বিতীয়টি ‘কগস্পোর্ট’। স্মিথের রিফ্লেক্স পরীক্ষাও করা হবে।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন এই ‘কগস্পোর্ট’ বা ‘স্ক্যাট ৫’ পরীক্ষা আদৌ কী? ‘কগস্পোর্ট’ এক রকমের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের রিয়্যাকশন টাইম, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা করা হয়। স্মিথ সুস্থ থাকাকালীন যে ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল তার সঙ্গে মিলছে কি না, তা দেখা হবে।

‘স্ক্যাট ৫’ পরীক্ষায় দেখে নেওয়া হয় ভবিষ্যতে সেই ক্রিকেটারের সংজ্ঞা হারানোর আশঙ্কা আছে কি না। অর্থাৎ স্নায়ুর পরীক্ষার সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য পরীক্ষা করা হয় এই টেস্টে। এমনকি ‘মেমোরি টেস্ট’ও নেওয়া হয়। যেমন আহত ক্রিকেটারকে কয়েকটি শব্দ পড়ে শোনানো হয়। পাঁচ মিনিট পরে সেই শব্দগুলো তাঁর কতটা মনে আছে, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই পরীক্ষাগুলো হওয়ার আগে মাঠে নামার অনুমতি দেওয়া হয় না।

এ দিন প্রশ্ন ওঠে, চোট লাগার পরেও কেন স্মিথকে ব্যাট করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল শনিবার? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস মেডিসিন দলের প্রধান অ্যালেক্স কুরটোনিস যদিও ডাক্তারদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘স্মিথ ড্রেসিংরুমে ফেরার পরে ওর নিজেরও মনে হয়েছিল যে, ও একশো শতাংশ ফিট। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ডাক্তারদের দলও কোনও সমস্যা খুঁজে পায়নি। তা হলে কেন ওকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না! কংকাশান সাব থাকলেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া যায় না। তা হলে যে কেউ মাথা ঘোরার ভান করে বিশ্রাম নিতে পারে। সেটা তো আর হতে দেওয়া যায় না।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘লাবুশানেও মাথায় আঘাত পেয়েছিল। ওর সঙ্গে কথা বলে ফিজিয়ো আর ডাক্তার ঠিক করে, ও ব্যাট করতে পারবে। সে রকমই স্মিথের সঙ্গেও একই কথা হয়েছিল ফিজিয়োর দলের।’’

Cricket The Ashes 2019 England Australia Concussion Sub Steve Smith
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy