ফের ঝলসে উঠল বিরাটের ব্যাট। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ড ইনিংসকে শেষ করে দিয়ে দিনের প্রথম দুটো সেশনের লাইমলাইট যদি কেড়ে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তা হলে শেষ সেশনটা অবশ্যই লেখা থাকবে বিরাট কোহালির নামে। তামিলনাডুর স্পিনারের পাঁচ উইকেটের পাশে বিরাট দিনের শেষে অপরাজিত ৫৬।
যদিও যতটা সহজে দ্বিতীয় টেস্টে জয় চলে আসবে বলে মনে হয়েছিল কাল, আজকের শুরুটা তত সহজ হয়নি। সৌজন্যে ইংল্যান্ডের লোয়ার মিডল অর্ডার। আরও ভাল ভাবে বলতে গেলে বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। দু’জনের দৃঢ় ব্যাটিং দেখে একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, ফলো অন বাঁচবে তো বটেই, ভারতকে আরও বেকায়দায় ফেলে দেবেন তাঁরা। কিন্তু বাদ সাধলেন সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফের এক বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।
শুক্রবার মইন আলির উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়, আর কত ক্ষণ স্থায়ী হবে ইংল্যান্ড ইনিংস। ৩৪ ওভারে ইংল্যান্ড তখন ৮০/৫। এর পরেই পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করেন বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁদের পার্টনারশিপ স্থায়ী হল ৪৪ ওভার। দু’জনে মিলে যোগ করলেন ১১০ রান। ১৫৭ বলে ৭০ রান করলেন স্টোকস। ১৫২ বলে ৫৩ করলেন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষককে বোল্ড করে স্টোকস- বেয়ারস্টোর পার্টনারশিপ ভাঙেন উমেশ যাদব। এর পরেও আদিল রশিদকে নিয়ে মরিয়া লড়াই করতে থাকেন স্টোকস। সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ৩৫ রান। স্টোকসকে ফেরান অশ্বিন। এর পর বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি ইংল্যান্ড ইনিংস। পর পর দু’বলে দু’উইকেট নিয়ে কুকদের ইনিংসে ইতি টানেন তামিলনাডুর অফ স্পিনার। ২৫৫ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স।
২০০ রানে এগিয়ে থাকলেও কুকদের ফলো অন করাননি বিরাট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি ভারতের। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও ব্যর্থ দুই ওপেনার। লোকেশ এবং বিজয় দুজনকেই আউট করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অ্যান্ডারসনের একটা মারাত্মক ডেলিভারিতে আউট হন পূজারা। চটজলদি তিন উইকেট পড়লেও টলানো যায়নি কোহালিকে। দিনের শেষে দলের ৯৮ রানের মধ্যে তিনি একাই ৫৬। রাহানে অপরাজিত ২২। এখনই ২৯৮ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন:
কোহালির স্বপ্নভঙ্গের মঞ্চে অশ্বিনের হাতে জয়ের স্বপ্ন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy