চলছে এশিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: রয়টার্স।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সম্প্রতি গোটা বিশ্বই উত্তাল। নেতিবাচক আলোচনা চলছে সর্বত্র। তার মাঝেই শনিবার চিন দেখিয়ে দিল কী ভাবে বুদ্ধি ব্যবহার করে এই প্রযুক্তিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায়। বিগত এক-দুই দশকে যে ক’টি এশিয়ান গেমস হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখা গেল শনিবার হ্যাংঝাউতে।
অরুণাচল প্রদেশের তিন ক্রীড়াবিদকে ভিসা না দেওয়ায় ভারত-চিন ক্রীড়া সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আমন্ত্রণ সত্ত্বেও হ্যাংঝাউ যাননি। কিন্তু শনিবার ভারতের ক্রীড়াবিদরা বেশ হাসিমুখেই মার্চপাস্টে অংশগ্রহণ করলেন। প্রায় ১০০ জন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ এবং কর্তা অংশ নিয়েছিলেন। পতাকাবাহক হলেন হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ এবং লভলিনা বরগোঁহাই।
পুরুষ ক্রীড়াবিদরা বন্ধগলা জ্যাকেট এবং খাকি কুর্তা পরেছিলেন। মহিলারা হাইনেক ব্লাউজের সঙ্গে খাকির নকশা দেওয়া শাড়ি পরেছিলেন। ভারত থেকে এ বার ৬৫৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বেশির ভাগেরই পরের দিন ম্যাচ থাকায় মার্চপাস্টে আসেননি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের থিম রাখা হয়েছিল ‘টাইডস সার্জিং ইন এশিয়া’। সেই থিমের সঙ্গে মানানসই অনুষ্ঠান হল দু’ঘণ্টা ধরে। নিজেদের সঙ্গে গোটা বিশ্বের সংস্কৃতিকেও সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলল চিন। এশিয়ার সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হল আলাদা করে। হ্যাংঝাউ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কিয়ানতাং নদী। সেই নদীর উঁচু ঢেউ ছিল থিমের মূলমন্ত্র।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং থ্রি ডি প্রযুক্তি দারুণ ভাবে ব্যবহার করা হল। আলোর শোয়ে ঝলক দেখা গেল লেজ়ারের। সেই লেজ়ার দিয়েই বিভিন্ন নকশা, ঝরনা ফুটে উঠল স্টেডিয়ামে। চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের পাশাপাশি এশিয়ার অলিম্পিক্স সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রণধীর সিংহ ছিলেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি টমাস বাখকেও দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy