ফের টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষে উঠে এল ভারত। ছ’মাস পর আবার আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে বিরাট কোহালির দল।
গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়ে ভারতের কাছে থেকে যে জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার কাছে ০-৩ সিরিজ হেরে ভারতকে সেই জায়গাই ফিরিয়ে দিল তারা। ১১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বিরাট কোহালির দল। আর ইংল্যান্ডের সাথে যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ ২-২ করে পাকিস্তান প্রথম উঠে এল দু’নম্বরে।
টেস্ট সিংহাসনে থাকতে গেলে অবশ্য ভারতকে পোর্ট অব স্পেনে চতুর্থ টেস্ট জিততেই হবে। ড্র হলে বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতলে পাকিস্তান ভারতকে সরিয়ে প্রথম বার উঠে আসবে র্যাঙ্কিং শীর্ষে। মিসবা উল হকদের কাছে তখন এক নম্বর জায়গাটা হারাতে হবে ভারতকে।
শ্রীলঙ্কায় যে সিরিজ শুরুর আগে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সেরার পুরস্কার স্টিভ স্মিথদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, সেই সিরিজের শেষে এই পরিণতি তাঁদের। এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের আগে শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৩ বছরে একটা মাত্র টেস্ট জিতেছিল। ১৯৯৯-এ ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার সেই জয়ের সময় রঙ্গনা হেরাথের বয়স ছিল ২১। তখনও টেস্ট অভিষেক হয়নি তাঁর। সেই হেরাথই দেশকে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় এনে দিলেন তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ১৩টা উইকেট নিয়ে। সারা সিরিজে ২৮ উইকেট নিলেন তিনি। বাঁ হাতি এই স্পিনার প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়া সেই ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭৯ তোলে। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩৪৭ তোলায় অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ৩২৪। কিন্তু শেষ দিন হেরাথের (৭-৬৪) ঘূর্ণিতে দিশাহারা হয়ে ১৬০-এই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার পান হেরাথই। প্রথম দুই টেস্টেও তাঁর বলের ঘূর্ণি সামলাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।প্রথম টেস্টে ন’টা ও দ্বিতীয় টেস্টে ছ’টা উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।