এজবাস্টনে ভেস্তে গেল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ। ছবি: রয়টার্স
শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্টিভ স্মিথদের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। আর শনিবার সেই বৃষ্টির জন্যই ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বসল তাঁরা। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে বেন স্টোকস-রা ৪০ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিয়ে হতাশ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ তাই বলে গেলেন, ‘‘সত্যিই খুব হতাশ লাগছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলাটাই মেলে ধরতে পারলাম না। আজ ভাল শুরু করেও শেষের দিকে পনেরো রানে পাঁচ উইকেট হারানোটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও ওই সময় বাজে কিছু শট খেলে আউট হল।’’
প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এখানেই থেমে যাননি স্মিথ। তিনি আরও বলেন, ‘‘বোলিং-এর সময় বৃষ্টির পর যে ভাবে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসা উচিত ছিল আমাদের তা করা গেল না। আর সেই সুযোগটাই নিয়ে গেল ইয়ন মর্গ্যান আর বেন স্টোকস। দারুণ ব্যাট করল ওরা।’’
সেমিফাইনালে উঠতে গেলে এ দিন এজবাস্টনে ইংল্যান্ডকে হারাতেই হত অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু টসে জিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়াকে। আশা করা গিয়েছিল শুরুতে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে বড় রান করবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে অজিদের ইনিংস শেষ হয় ২৭৭-৯। এ দিন অস্ট্রেলিয়ার টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছিলেন। অ্যারন ফিঞ্চ (৬৮), স্টিভ স্মিথ (৫৬) এবং ট্র্যাভিস হেড (৭১ ন.আ) বড় রান করলেও অজিদের সমস্যা বাড়ায় তাদের লোয়ার অর্ডার। আদিল রশিদ (৪-৪১) ও মার্ক উড (৪-৩৩)-এর দাপটে এই সময় পনেরো রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান পাঁচ অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান। ফলে বড় রান স্কোরবোর্ডে রেখে ফিল্ডিং করতে নামতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাট করতে নেমে জস হ্যাজলউড (২-৫০) এবং মিচেল স্টার্কের (১-৫২) দাপটে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড। ৩৫ রানে তিন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। এর পরেই বৃষ্টি নেমে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পর অজি বোলারদের বিরুদ্ধে স্বমূর্তি ধারণ করেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (৮৭) এবং বেন স্টোকস (ন.আ ১০২)। এর পরেই বৃষ্টি নামে। ম্যাচ তখন ৪০.২ ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছে। ইংল্যান্ডের রান তখন ২৪০-৪। বৃষ্টির জন্য এর পরে আর খেলা শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ম্যাচ জিততে গেলে এই সময় ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২০১ রান। কিন্তু ইংল্যান্ডের রান ২৪০ থাকায় ৪০ রানে ম্যাচ জিতে যায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy