সেই ছোটবেলা থেকে টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন। এক সময় প্রথম দশেও ঢুকে পড়েছিলেন। সেখান থেকে হঠাৎই টেনিস থেকে বিরতি। বেছে নেন সম্পূর্ণ অন্য ধরনের খেলা ক্রিকেট। খেলে ফেলেন মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগে। এক বছর পর আবার টেনিসে প্রত্যাবর্তন। সেখান থেকেই টানা সাফল্য। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল অ্যাশলে বার্টির। অস্ট্রেলিয়ার ৪৪ বছরের আক্ষেপ মেটালেন তিনি।
১৯৯৬ সালের ২৪ এপ্রিল উত্তর কুইন্সল্যান্ডে জন্ম বার্টির। বাবা এবং মা দু’জনেই গলফের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মা গলফ ছেড়ে দেওয়ার পর রেডিয়োগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন। ছোটবেলায় টেনিসের পাশাপাশি নেটবল খেলেছেন বার্টি। তবে একটা সময় টেনিসের উপরই পুরোপুরি নজর দেন। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল নেটবল নাকি শুধু ‘মেয়েদের খেলা’। তাঁর দুই বোন সেই খেলায় অনেক ভাল ছিলেন। সেটাও খেলা ছাড়ার আর একটা কারণ। কিন্তু ছোটবেলায় এক বারও ক্রিকেট খেলেননি তিনি।
মাত্র ৪ বছর বয়সে ওয়েস্টার্ন ব্রিসবেন টেনিস সেন্টারে জিম জয়েসের অধীনে টেনিস খেলায় হাতেখড়ি। ছোটবেলাতেই জয়েস বুঝতে পারেন, বার্টি বাকি পাঁচ জন বাচ্চার মতো নয়। হাত এবং চোখের অসাধারণ সামঞ্জস্য এবং শট মারার দক্ষতা থাকার কারণে ছোট থেকেই বার্টি বাকিদের পিছনে ফেলেছিলেন। ছোটবেলায় বাড়িতেই বসার ঘরের দেওয়ালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বল মেরে যেতেন তিনি। তাঁর থেকে ৬ বছরের বড় ছেলেদের সঙ্গে এক সময় টেনিস খেলা শুরু করেন।