সাংবাদিকদের সামনেই চোখ ছলছল অ্যান্ডি মারের। ছবি: এপি।
অস্ট্রেলীয় ওপেন শুরু হতে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগেই টেনিস দুনিয়ায় তারকাপতন! এই টুর্নামেন্ট খেলেই হয়তো নিজের কেরিয়ার শেষ করবেন অ্যান্ডি মারে।
চোট-আঘাতে জর্জরিত অ্যান্ডি ভেবেছিলেন, আগামী জুলাইতে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট থেকেই টেনিসকে বিদায় জানাবেন। তবে সে সাধ বোধহয় মিটছে না তাঁর। শুক্রবার মেলবোর্নে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই চোট-আঘাতের ব্যথা নিয়ে আর চার-পাঁচ মাসও খেলতে পারব কি না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।” এই কথাগুলো বলার সময়ই চোখ ছলছল করে ওঠে মারের। তিন বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজেতাকে দেখা যায়, বাঁ-হাত দিয়ে চোখের জল মুছছেন। ওই অবস্থাতেই নিজেকে সামলে ধরা গলায় বলে উঠলেন, “উইম্বলডনে গিয়েই থামতে চেয়েছিলাম। তবে আমি জানি না, সেটা করতে পারব কি না!”
গত বছরের জানুয়ারিতে কোমরের অস্ত্রোপচার করার পর থেকে সেরে উঠতে যথেষ্ট সময় লাগছিল মারের। বেশ কিছু দিন টেনিস থেকে দূরেও ছিলেন। এর পর গত জুন থেকে মাত্র ১৪টা ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে আগামী সোমবার, ১৪ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলীয় ওপেনের প্রথম রাউন্ডে নামতে চাইছেন তিনি। ২২ নম্বর বাছাই স্পেনের রবের্তো বাউতিস্তা অগাতের বিরুদ্ধে নিজের সেরাটাই দিতে চান ৩১ বছরের মারে। এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে মারে রয়েছেন ২৩০ নম্বরে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: সিওএ প্রধানের সুপারিশ, দুই ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানো হোক হার্দিক, রাহুলকে
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ দল প্রায় তৈরি, আত্মবিশ্বাসী রোহিতের ঘোষণা
উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট থেকেই টেনিসকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন অ্যান্ডি মারে। ছবি: এপি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেই মারের টেনিস মরসুম শেষ হয়ে যায়। রি-হ্যাব বিশেষজ্ঞ বিল নোয়েলসের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজেকে ম্যাচ-ফিট করে তোলাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে তাতেও যে কাজের কাজ হয়েছে, তা একেবারেই নয়। গত বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন পার্কে নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচে সেই পুরনো মারেকে খুঁজে পাওয়া য়ায়নি। নিজের সেরা ফর্ম হারিয়ে মারে যে এই মুহূর্তে একেবারেই ভাল নেই, এ দিন তা-ও জানিয়েছেন তিনি। এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে এক সময় শীর্ষে থাকা মারের কথায়, “আমি এতটুকুও ভাল বোধ করছি না। বহু দিন ধরেই এই লড়াই চলছে। গত ২০ মাস ধরেই চোট-আঘাতের ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনও বেশ ব্যথা রয়েছে। এখন আমি একটা লেভেল পর্যন্ত খেলতে পারছি। তবে সেটা আমার আগের লেভেলের খেলা মোটেও নয়।”
(উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, অস্ট্রেলীয় ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন কিংবা ডেভিস কাপ। রোলাঁ গারো থেকে ফ্ল্যাশিং মিডো -টেনিস খেলার খবরজানতে পড়ুন আমাদেরখেলাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy