ভয়ঙ্কর: সেই মুহূর্ত। মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠে পড়ে স্মিথ। ফাইল চিত্র
ছয় বছর আগে ক্রিকেট মাঠে ফিল হিউজের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকে। বাউন্সারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার হিউজের। যে ঘটনা ধাক্কা দিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারদের। তাই যখনই কোনও ব্যাটসম্যান বাউন্সারে মাথায় আঘাত পান, সেই আতঙ্কের স্মৃতি ফিরে আসে বারবার।
সেই আতঙ্ক আরও এক বার ছুঁয়ে গিয়েছিল ওয়ার্নারকে। যখন গত বছর অ্যাশেজ চলাকালীন মাথায় বল লেগে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। আতঙ্কিত ওয়ার্নার মনে মনে বলেছিলেন, ‘‘হায় ঈশ্বর, আর নয়।’’
বল-বিকৃতি কেলেঙ্কারির পর থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই নিয়ে নতুন একটি তথ্যচিত্র বেরিয়েছে। যেখানে এই ঘটনার কথা বলেছেন ওয়ার্নার। লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন স্মিথ। তখন কী মনে হচ্ছিল সবার? তথ্যচিত্রে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘যখন দেখলাম, বাউন্সারে জখম হয়ে স্মিথ লুটিয়ে পড়ছে, আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সবার মনে হচ্ছিল, আর নয়, দয়া করে যেন আর ওই ঘটনা না ঘটে।’’
অস্ট্রেলিয়ার আরও দুই ক্রিকেটার পিটাল সিডল এবং উসমান খোয়াজাও জানিয়েছেন ওই সময়ে তাঁদের মনোভাবের কথা। সিডল বলেছেন, ‘‘আমরা সবাই বিরাট ধাক্কা খেয়েছিলাম। সব থেকে খারাপ মুহূর্তটা ছিল, যখন স্মিথ মাঠে লুটিয়ে পড়েছিল। অত ভয় আগে কখনও পাইনি।’’
অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান খোয়াজার মন্তব্য, ‘‘একটা সময় আমরা কখনও ভাবিনি, ওই রকম কিছু হতে পারে। কখনও ভাবিনি মাথায় বলের আঘাত লেগে কারও মৃত্যু হতে পারে। ছোটবেলা থেকে সেই বিশ্বাসটা নিয়েই বড় হয়েছিলাম। কিন্তু হিউজের মৃত্যু সব কিছু বদলে দেয়।’’ লর্ডস টেস্টে দু’বার আঘাত লেগেছিল স্মিথের। এক বার কনুইয়ে, এক বার মাথায়। মাথায় আঘাত লাগার পরে ‘কনকাশন সাব’ নিতে বাধ্য হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিষাক্ত গতি সামলে ওই সিরিজে রেকর্ড ৭৭৪ রান করেছিলেন স্মিথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy